বাগেরহাটে ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্যের জেরে যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২০, ১৭:৫৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে উগ্র ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে মোহাম্মদ আলী খান (২৩) নামে এক তরুণকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সরালিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ এই তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় তার কাছ থেকে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সরঞ্জাম বা বই-পুস্তক পায়নি পুলিশ।

বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারের আগে মোহাম্মদ আলী খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার মনোয়ারা বেগম ইসলামিক মহিলা দাখিল মাদ্রাসা এবং এসএ ক্যাডেট একাডেমির নৈশ প্রহরী (সিকিউরিটি গার্ড) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর সরালিয়া গ্রামের খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির ছেলে। এর আগে তিনি  কখনো পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হননি। তার বিরুদ্ধে বাগেরহাটের কোনো থানায় মামলাও নেই।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ আলী খান নামে এই তরুণ গত ১১ জুন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডি এবং ইউটিউবে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া ভিডিওটি পুলিশের হাতে আসার পর পুলিশ তার খোঁজে মাঠে নামে। তার সেই ভিডিও বার্তায় তিনি দেশের বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত সদস্যদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জিহাদের ঘোষণা দিয়েছেন।

পুলিশের দাবি, এই তরুণ উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। তিনি ইসলামিক আর্মি ফোর্সের একজন সদস্য (আইএএফ)। তার দেয়া এই বক্তব্য কেউ শুনলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ সুপার বলেন, জিহাদের জন্য মোহাম্মদ আলী মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন। সেজন্য তার ব্যক্তিগত বিকাশ ও ব্যাংক একাউন্ট নম্বরও প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছাড়া ভিডিও বার্তাটি পুলিশের কাছে উগ্র ও জঙ্গিবাদী কর্মকান্ডের অংশ বলে মনে হচ্ছে। আমরা তার কর্মকান্ডে কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। বুধবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/কেএম)