আখাউড়ায় নদী ভাঙনে পাঁচ বাড়ি বিলীন, ঝুঁকিতে ১৩ পরিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার টানমান্দাইল উত্তর চর এলাকায় হওড়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মানুষের ভিটেমাটি, বাড়ি-ঘরসহ নানা স্থাপনা।
গত ১০ দিনের ভাঙনে পাঁচ পরিবারের ভিটেমাটি ঘরসহ নানা স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ১৩টি পরিবার। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে এখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপির নির্দেশে গত মঙ্গলবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন এলাকা পরির্দশন করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির ও ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হান্নান জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল উত্তর চরে গত ১০ দিন ধরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর ভাঙনে উত্তর চরের নূরুল ইসলাম, সুজন মিয়া, আনোয়ারা বেগম, মশন মুন্সী ও হাবিব মিয়া নামে পাঁচ পরিবারের ভিটেমাটি বাড়ি-ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এই ভাঙন রোধ করতে না পারলে আরো ১৩টি পরিবারের ভিটেমাটি বিলীন হয়ে যাবে। ঝুঁকি নিয়ে ১৩টি পরিবার বসবাস করছে এখানে।
তারা আরো জানান, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়রসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন এলাকা পরির্দশন করে। এরপর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি
টিম এসেছে ভাঙন এলাকায়। তারা বাস্তব পরিস্থিতি দেখে ছবি ও ভিডিও করে নিয়েছেন। তারা ভাঙনরোধে কাজ করছেন বলেও ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ পরিবারের লোকজন জানান, হাওড়ার ভাঙনে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বসতবাড়ি সব বিলীন হয়েছে। ভাঙনের যে গতি তাতে ঝুঁকিপুর্ণ ১৩টি বাড়িও হাওড়া নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। বিষয়টি তারা আইনমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল জানান, ভাঙনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। তারা বাস্তব পরিস্থিতি দেখে এসেছেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার বলেন, আইনমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশাসন নদীর ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য সংগ্রহ করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুইদিনের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সহায়তা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/কেএম)