ঠাকুরগাঁওয়ে চিনাবাদাম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

প্রকাশ | ২০ জুন ২০২০, ১২:৩২ | আপডেট: ২০ জুন ২০২০, ১২:৩৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা বংশ পরম্পরায় ধান পাট গম ও আলু চাষাবাদ করে আসছেন। তবে প্রতিবছর এসব ফসল চাষে লোকসান গুণতে হয় তাদের। তাই এসব ফসল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ক্রমেই তারা চিনাবাদাম চাষে ঝুঁকে পড়ছেন। বাদাম চাষে লোকসানের আশঙ্কা কম বলে জানান চাষিরা।

জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলার গড়েয়া, ভুল্লি, রাজাগাঁও, শুখানপুকুড়ি ও বালিয়া এলাকায় কয়েক বছর আগে শুরু হয় বাদামের চাষাবাদ। যেসব চাষি একবার লাভবান হচ্ছেন পরবর্তীতে তিনি বাড়াচ্ছেন বাদামের জমির আওতা। এদিকে জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় গড়ে উঠছে প্রায় অর্ধশতাধিক বাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষুদ্র শিল্প-কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিক। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বড়গাঁ গ্রামের বাদাম চাষি তবিবর রহমান জানান, বাদাম চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে প্রতিমণ কাঁচা বাদামের দাম আড়াই হাজার টাকা হিসেবে এক বিঘা জমিতে আয় হয় ৩০ হাজার টাকা। খরচ ১০ হাজার বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি লাভ হয় ২০ হাজার টাকা। তবে বাদাম শুকিয়ে ঘরে সংরক্ষণ করলে লাভ আরও বেশি।

দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের ঢোলারহাট সেনপাড়া গ্রামের বাদাম চাষি নরেশচন্দ্র জানান, বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় এবারও বাদামের চাষ করেছেন তিনি। সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও ঋণ সুবিধা পেলে জেলার কৃষকরা বাদাম চাষে আরও বেশি ঝুঁকবে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, চিনাবাদাম একটি অর্থকরী ফসল। ফলনও ভাল এবং দামও ভাল। অন্যান্য ফসলের চাইতে বাদামের দাম ভালো হওয়ায় এ জেলায় বাদামের চাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এজন্য জেলায় চিনাবাদামের নতুন নতুন জাত সরবরাহ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর রবি মওসুমে চিনাবাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৪ হেক্টর এবং অর্জিত হয় ১৮ মেট্রিক টন। অপরদিকে খরিপ-১ মওসুমে চিনাবাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩২৬ হেক্টর এবং আবাদ হয়েছে ৩৩২ হেক্টর জমি। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাতা ধরা হয় ৫৫৪ দশমিক ২০ মেট্রিক টন।

ঢাকাটাইমস/২০জুন/পিএল