মির্জাপুরে বিলম্বে রিপোর্ট আসায় বাড়ছে সংক্রমণ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২০, ১৪:৪১

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনা পরীক্ষার নমুনা নেওয়ার পর রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে ৭ থেকে ৮ দিন। গত শুক্রবার আসা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে উপজেলায় করোনা পজেটিভের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫ জন। তাদের নমুনা স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সংগ্রহ করে গত ১১ জুন। সংগৃহীত নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয় ১২ জুন। গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১১ জনে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক স্বাস্থ্য কর্মী উপজেলার প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়। ওই সময় ঢাকায় পাঠানো নমুনার রিপোর্ট আসতে ২-৩ দিন লাগত। এখন তা ৭ থেকে ৮ দিন পর আসছে। এতে উপজেলায় দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে। এর কারণ নমুনা দেওয়ার পর সন্দেহভাজনরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবন আচরণ করছেন।

মির্জাপুর বাজারের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার মুফাজ্জল হোসেন দুলালের স্ত্রী করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে বাড়িতে স্বাভাবিক জীপনযাপন করেন। তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর পরিবারের অন্যদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠালে এক সপ্তাহ পর শুক্রবার আসা রিপোর্টে মুফাজ্জল হোসেন ও তার দুই নাতনীরও করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

এদিকে উপজেলার পুষ্টকামুরী গ্রামের শামসুল আলম এবং চান্দুলিয়া গ্রামের শমসের আলী করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন গত ৯ জুন। তাদের রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়া যায় তাদের মৃত্যুর পর। জীবিত থাকতে রিপোর্ট না পাওয়ায় তারা করোনার চিকিৎসা নেয়নি। শামসুল আলম অন্য অসুখের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলেও বিনা চিকিৎসায় নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় শমসের আলীর।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, উপজেলায় স্বাস্থবিধি এবং লকডাউন না মানা করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ। তবে নমুনা প্রদানকারীদের তালিকা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে চাওয়া হয়েছে। তারা সাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে।

ঢাকাটাইমস/২০জুন/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :