বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২০, ২৩:২৮

বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো দুজন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো দুজন মারা গেছেন। শনিবার রাতে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনায় নিহতদের মধ্যে দুজনই পুরুষ। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খায়রুল বাশার মোমিন জানান, ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে দুজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন বগুড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক সহকারী পরিচালক ছিলেন। তার নাম মজিবুর রহমান (৫৮)। তিনি টিএমএসএস হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাজমায় ভুগছিলেন। পাশাপাশি তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল। শনিবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। এছাড়া শহরের খান্দার এলাকার কোহিনুর বেগম (৫৮) নামে এক নারী সকাল সোয়া ৮টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে ভর্তি হন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। তার কিডনি রোগ এবং ডায়াবেটিস ছিল।

এদিকে, শুক্রবার রাত ৮টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের দেওয়ানপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন প্রামাণিক (৫৫) নামে এক কৃষক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালে সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ।

তিনি জানান, বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে জালাল উদ্দিনকে গত মঙ্গলবার এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষায় শুক্রবার তিনি করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হন। এদিন রাত আটটায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া করোনায় মারা যাওয়া আইনজীবীর সহকারীর নাম নূরুল ইসলাম (৫৩)। তিনি বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া আলোর মেলা স্কুলসংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ঘোলাগাড়ি এলাকায়।

নিহতের ছেলে সাদিকুল ইসলাম বলেন, তার বাবা জ্বর, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছিলেন। ১২ জুন টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজন চিকিৎসক দেখার পর টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

২৪ ঘন্টায় করোনায় নতুন করে দুজন মারা যাওয়ায় জেলা করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ জনে। উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ জন।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :