মশক নিধনে উদ্যোগ নেই, ঝুঁকিতে বড়লেখার পৌরবাসী

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২০, ১২:২৪

একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে মশার উপদ্রব। এ দুই নিয়ে চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌর এলাকার বাসিন্দারা। বর্ষার মৌসুম শুরু হতে না হতেই পৌর এলাকায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ পৌরবাসী। এখনই মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এবারও ডেঙ্গুর প্রকোপের আশঙ্কা রয়েছে।

সারাদেশের ন্যায় বড়লেখাতেও বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং বড়লেখা পৌর কর্তৃপক্ষ এখন ব্যস্ত করোনা মোকাবেলা নিয়ে। এই ফাঁকে পৌর এলাকার ডোবা, পরিত্যক্ত স্থান ও নর্দমা মশার প্রজননের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের পাশে ময়লা আবর্জনা রয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতে নর্দমা ও ড্রেন অপরিচ্ছন্ন। সেসব স্থানে মশার উৎপাত রয়েছে। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই।

এখনই ডেঙ্গু নিধনে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বড়লেখায় করোনার সঙ্গে ডেঙ্গুর আক্রমণ মারাত্মকভাবে দেখা দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বড়লেখা পৌর শহরের মুন শেরওয়ানী হাউজের মালিক তাহমিদ ইশাদ রিপন বলেন, ‘বড়লেখা পৌর এলাকায় মশার উৎপাত প্রচণ্ড রকমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাসা বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। কয়েল জ্বালিয়েও অনেক ক্ষেত্রে রেহাই মিলছে না। মশার ভয়ে দিন-রাত ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। অথচ মশা নিধনে পৌরসভা দৃশ্যমান কোনো অভিযান চোখে পড়েনি।’

তার মতো এমন অভিযোগ করেন পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বড়লেখা ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নিয়াজ উদ্দিনসহ আরো অনেকে।

অধ্যাপক নিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘বড়লেখায় বাসা বাড়িতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যা হলে মশার উৎপাতে ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো পড়াশোনা পর্যন্ত করতে পারে না।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র আবু ইমাম মো. কামরান চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, ‘এডিস মশার বিস্তাররোধে আমরা পূর্বপ্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি । এখনো সরাসরি মশক নিধনের কাজ শুরু করা হয় নি। আগে ড্রেনগুলোর জলাবদ্ধতা এবং ময়লা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি। বৃষ্টির মৌসুম থাকায় অনেক এলাকাতেই ড্রেন নর্দমার পানি নিষ্কাশনের কাজে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিরি মাঝেও উন্নয়নমূলক কাজগুলো চালিয়ে যেতে হচ্ছে। দৃশ্যমান না হলেও সবকিছুর সমন্বয় করে আমরা ডেঙ্গুর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামী সপ্তাহ থেকে মশা নিধনের কাজ দৃশ্যমান হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রত্নদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, ‘মশার উপদ্রব আসলেই বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ এমনিতেই প্রচুর চাপের মুখে রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবগত করেছি। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। শুধু পৌর এলাকায় নয়। সব এলাকাতেই মশা নিধনে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি ।’

ঢাকাটাইমস/২১জুন/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :