সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিস্টেম চালুর নির্দেশ

প্রকাশ | ২১ জুন ২০২০, ১৬:৩৮ | আপডেট: ২১ জুন ২০২০, ১৭:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিচারিক কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব জেলখানায় ভার্চুয়াল সিস্টেম চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারাগারের অভ্যন্তরে ভার্চুয়াল সিস্টেম স্থাপন করে মামলা-মোকাদ্দমা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাতে চালানো যায় সে ব্যবস্থার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার  জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী  বলেন, ‘জামালপুর কারাগারের প্রকল্পের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামালপুরের কারাগারে ভার্চুয়াল কোর্ট করতে হবে যাতে মামলা মোকাদ্দমা ডিজিটালই সম্ভব। শুধু জামালপুরই নয় অন্যান্য জেলা কারাগারে সার্বিকভাবে ভার্চুয়াল সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে। অনেক সময় (আসামিকে) তাকে নেয়ার দারকার নেই। ওখানে বসেই বিচার হয়ে যায় ভার্চুয়ালি। কিছু কিছু কয়েদি আছে নিরাপত্তাজনিত কারণে কোর্টে না নেয়াই সেইফ।’

কারাগারে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে প্রধামন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে যেন ফ্যান থাকে, টিভি দেখার ব্যবস্থা থাকে। আর কারাগারে যারা পণ্য তৈরি করে তারা যেন সে পণ্য বিক্রির ৫০ শতাংশ লাভ পায়। বাড়িতে যাওয়ার সময় সেটা নিয়ে যেতে পারে। সব জেলেই এটা করতে হবে। সংস্কার শুধু জামালপুর নয় অন্যান্য জেলকেও করতে  হবে। মিনিমাম চমৎকার আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যাতে যারা জেলের বাসিন্দা তারা যেন মোটামুটি মানসম্পন্নভাবে থাকতে পারে।’

খালকাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু পাড় থেকে একটু মাটি তুলেই বিল (টাকা) নিয়ে না নেয়া হয় সে বিষয় সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজর রাখান নির্দেশনা দেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ( প্রধামন্ত্রী) বলেছেন, তার কাছে খাল কাটার নামে, পুকুর সংস্কারের নামে পাড়গুলোর  খালি ছেলে-ছুটে বিল তোলা হয়েছে এমন সংবাদটি তিনি চেক করিয়েছেন। এটা মন্ত্রণালয়কে বলেছেন, এটা ভালো করে দেখা দরকার। কেউ যেন শুধু পাড়গুলোকে একটু ছেটে ভাব দেখাতে না পারে আমি পুকুর কাটছি।’

পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে বলেন, ‘এটা অন্ত্যন্ত পুরোনো একটি ট্রিক্স। কেউ কেউ করেছে এটা আমিও দেখেছি। এটা সম্পর্কে তিনি (প্রধামন্ত্রী) জানেন এবং খুব স্টং মন্তব্য করেছেন। মাটি কাটা হলে সেটা যেন প্রয়োজনীয় গভীর করে কাটা হয়। আর মাটি যে কাটা হয়েছে সে মাটি গেল কোথায়, এ বিষয়ে ঠিকাদারকে জবাব দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজকের একনেক  সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/জেআর/জেবি)