শ্যামনগরে বিএনপির ত্রাণবহরে হামলা, আহত ১৫

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২০, ১৭:০৩

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়া ১৫ জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের নেতাকর্মীদের পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে একটি প্রাইভেটকারসহ ১৫টি মোটরসাইকেল। কেড়ে নেওয়া হয়েছে চারটি মোটরসাইকেল।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের কাদনিখালি ব্রিজের কাছে ও নকীপুরে দুই দফায় এ হামলা চালানো হয়।

আহতদের হাসপাতালে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি পুলিশকে জানিয়েও কোন সহায়তা পাননি বলে জানান জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আজিবর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম আনিছুর রহমান আনিছ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শাহারিয়ার মাসুদ, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাসেল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের নেতা আব্দুর রশীদ, যুবদল নেতা জামিরুল ইসলাম বাবলু, কাশিমাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল গফফার মিঠু, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, জহিরুল ইসলাম, মোস্তফা মিন্টু, রবিউল ইসলাম, মামুন, শাহীনসহ ১৫ জন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে কাশিমাড়ী মাদানী ফাউন্ডেশন ময়দানে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে মোট ১২০০ অসহায় পরিবারের মধ্যে থেকে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৩৫০ অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আয়োজন করা। এর উদ্বোধন করতে তার নেতৃত্বে জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, কৃষকদল সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল, যুবদল নেতা হাসান শাহরিয়া রিপন, যুবদল নেতা আনোয়ারুল ইসলামসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা সকাল ১১টায় যাওয়ার সময় কাশিমাড়ি ইউনিয়নের কাতখালি ব্রিজের নিকট পৌঁছালে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজিব হায়দারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় তাদের কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরবর্তীতে আরেক নকীপুরে জেলা নেতৃবৃন্দের ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলায় চালানো হয়। একই সাথে ভাঙচুর করা হয় তাদের একটি প্রাইভেটকারসহ ১৫টি মোটরসাইকেল। ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের চারটি মোটরসাইকেল।

তিনি জানান, আমরা এর প্রতিবাদ করে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানালে তিনি বলেন, ‘ত্রাণ দিতে এসেছেন, অনুমতি নিয়েছেন?। হামলার সময় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ঘিরে রাখা হয় বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয়। ফলে আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজিব হায়দার ঘটনাস্থলে ছিলেন না দাবি করেন। বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে কিছু নেতাকর্মী যাওয়ার সময় তাদেরই অপর গোষ্ঠীর মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে লোকমুখে তিনি শুনেছেন।

এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী রবিবার দুপুর ২টায় তার সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের বাড়ির সামনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসাথে তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, শ্যামনগরে বিএনপির কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। আভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে এ ধরণের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ নিয়ে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :