শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভারে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার
রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক ) ডা. মো. আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে হাসপাতালটির পরিচালককে বহির্বিভাগ ও অন্তঃবিভাগীয় যাবতীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নাকি সর্বসাধারণের চিকিৎসা চলবে- এই সিদ্ধান্ত নিয়ে টানাটানির পর গত ১৩ জুন করোনা রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয় মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। ২৫০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতালটিতে আট বেডের আইসিইউ এবং সমসংখ্যক হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) আছে। এর মধ্যে এইচডিইউর পাঁচটির যন্ত্রাংশ বিকল রয়েছে। যে কারণে আইসিইউ ও এইচডিইউ মিলে ১১ বেডে এখন রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। আর সাধারণ বেডে সর্বোচ্চ দু’শ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে।
তবে হাসপাতালটিতে এতদিন শুধু আইসিইউতে রোগী ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে সিনিয়র সাংবাদিক কামাল লোহানী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
হাসপাতালটির পরিচালককে দেয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনার প্রাদুর্ভাব চলছে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসেবা প্রদানকারী ব্যক্তিরা এক্ষেত্রে সম্মুখযোদ্ধা। ইতিমধ্যে অনেক চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবাদানকরীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মৃত্যবরণও করেছেন। কিন্তু এদের দ্রুত রোগ শনাক্ত ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করতে পারলে করোনা ও নন করোনা উভয় ধরনের রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থায় অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এছাড়াও চলমান চিকিৎসা ব্যবস্থাও ব্যাহত হবে।
তাই আপনার হাসপাতালটিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের জন্য বহিঃ ও অন্তঃবিভাগীয় স্বাস্থ্যসেবার সুব্যবস্থা করার জন্য সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও চিঠিতে বলা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/বিইউ/জেবি)