সস্ত্রীক করোনা মুক্ত হলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৩ জুন ২০২০, ১৯:৩৬ | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২০, ১৮:২২

সুখবরটা পেয়েছেন মঙ্গলবার সকালে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে শরীর এখন নির্ভার। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর ও তাঁর সহধর্মিণী নাসরিন পারভীন-দুজনের জন্যই করোনা থেকে মুক্তির খবরটি বড় স্বস্তির।

স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব ঢাকাটাইমসকে জানান, সোমবার পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন তারা। মঙ্গলবার সকালে এসেছে ফলাফল। তাতেই নিশ্চিত হয়েছেন করোনা নেগেটিভ এসেছে। পজিটিভ এসেছে অ্যান্টিবডি।

গত ১০ জুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হন সচিব মো. আলী নূর। সহধর্মিণীর দেহে করোনা ধরা পড়ে ২৫ মে, ঈদের দিন থেকেই। তাঁকে একটু বেশিই ভুগতে হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া। তিনি সহায় হয়েছেন বলেই আমরা করোনার মতো প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছি। সেই সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন, প্রিয় সহকর্মী এবং দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কারণ তারা সব সময়ই আমাদেরকে তাদের ভালোবাসায় রেখেছেন, দোয়া করেছেন।’

মো. আলী নূর বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়ার বড় শক্তি মনোবল। আমি কখনো মনোবল হারাইনি। তাতে রোগটি হয়তো আমার শরীরে ততটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত ওষুধ সেবন করেছি। আমার স্ত্রীকেও আমি সব সময় সাহস দিয়েছি। যদিও তাকে একটু বেশি কষ্ট পেতে হয়েছে। হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে। তবে এখন সেও ভালো আছে।’

তিনি বলেন, ‘মনোবল হারিয়ে ফেললে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বলব, সব সময় মনোবল ঠিক রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেয়ে যাবেন। এ জন্য যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত তাও মেনে চলতে হবে। তাহলে আর ভয় থাকবে না।’

খুব শিগগির কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘরে থাকলেও মানসিকভাবে সব সময়ই কাজের সঙ্গেই ছিলাম। মুঠোফোনে সব সময় সার্বিক খোঁজখবর এবং প্রয়োজনীয় কাজ চালিয়ে গেছি। এখন শরীর সুস্থ। খুব শিগগির হয়তো অফিসে যেতে পারব।’

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘এই মুহূর্তে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনাগুলোও মেনে চলতে হবে।’

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব হিসেবে মো. আলী নূরের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এর আগে তিনি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক ছিলেন। প্রশাসনে চৌকস, মেধাবী ও দক্ষ প্রশাসক হিসেবে সুপরিচিত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৮ম ব্যাচের এই কর্মকর্তা।

তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার হিসেবে। পরে তিনি সহকারী কমিশনার, এনডিসি (নেজারত ডেপুটি কালেক্টর), আরডিসি (রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার), মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পরিচালক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যুগ্মসচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মো. আলী নূর ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই মেয়ের বাবা।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এইচএফ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রশাসন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

প্রশাসন এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :