মহারশি নদীর ডাকাবরে আজো নির্মিত হয়নি ব্রিজ

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২০, ১৪:২৬

খোরশেদ আলম, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ডাকাবরে মহারশি নদীর উপর ৪৯ বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রিজ। ফলে শত শত মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেশ স্বাধীনের পর থেকেই নলকুড়া ইউনিয়নের মরিয়মনগর-ডাকাবর রাস্তার মাঝপথে মহারশি নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি ওঠে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময় ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাসও দিয়েছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা জানান, এ পথে উপজেলার নলকুড়া, কুশাইকুড়া, ভারুয়া, ফাকরাবাদ, ধোপাকুড়া, ভারুগাঁও, মানিককুড়া, গজারীকুড়া, গজারীপাড়া হলদিগ্রাম, জারুলতলা, বাঐবাধা, বারোয়ামারী, ডাকাবর, রামেরকুড়া, শালচুড়াসহ প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দারা যাতায়াত করে থাকে। এ নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় বিভিন্ন সময় আলোচনাও হয়েছে। আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

মরিয়মনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন আরেং, ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমানসহ ভুক্তভোগী অনেকেই জানান, এ রাস্তার উভয় পাশে দুইটি মহাবিদ্যালয়, চারটি উচ্চ বিদ্যালয়, দুইটি দাখিল মাদ্রাসা, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বেসরকারি দপ্তর রয়েছে। প্রতিদিন কোমলমতি শিশু কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতশত পথচারী এ পথে যাতায়াত করে থাকে। ব্রিজের অভাবে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তিন থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার ও অফিস আদালতে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হতে হয় পথচারীদের। উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও গবাদিপশু নিয়ে নানান বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় কৃষকদের।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, ডিপিবি’তে অর্ন্তভুক্ত করে ব্রিজটি নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই নির্মাণ করা হবে।

ঢাকাটাইমস/২৪জুন/পিএল