প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ জুন ২০২০, ১৭:৫০ | প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২০, ১৫:১৩

‘সংকট, সংগ্রাম এবং অর্জনে মানুষের পাশে আওয়ামী লীগ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ৭১ বছর উদযাপন করেছে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে জুম অনলাইনে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ। সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার এ সভা হয়।

বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ, ইউরোপ (নর্ডিক)’র সভাপতি মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী হেদায়েতুল ইসলাম শেলীর সঞ্চালনায় সভার শুরুতেই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতীয় চার নেতা, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সকল শহীদসহ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, মুক্তি, গণতন্ত্র ও প্রগতি প্রতিষ্ঠায় আত্মদানকারী দেশমাতৃকার সব শহীদদের।

সভায় প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি) এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জন্ম হয় ক্ষমতাসীন দলটির। এরপর জাতি গঠনের প্রতিটি সোপানে-স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার সময়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নাম ধারণ করলেও ১৯৫৫ সালে এই দল ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। যার ফলে দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

তিনি আরেও বলেন, আওয়ামী লীগের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাংলার জনগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে স্বাধিকার আদায়ের জন্য ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। সেই আন্দোলনের পথ বেয়েই ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচনে বাঙালির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ ও ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সফল নায়ক ছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৬৬ বছরের পথ-পরিক্রমায় দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক দলটিকে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরুতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অনেকটা অস্তিত্ব সংকটেই পড়ে আওয়ামী লীগ। দলের ভেতরেও শুরু হয় ভাঙন। এর মধ্যে আব্দুল মালেক উকিল-জোহরা তাজউদ্দীনের দৃঢ়তায় সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করে দলটি। ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরতে সক্ষম হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর এক দশক ধরে সারাদেশ ঘুরে দলকে সংগঠিত করেন তিনি। স্বৈরাচার বিরোধী তীব্র গণআন্দোলনও হয় তার নেতৃত্বে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই ২১ বছর পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করে দলটি। তখন থেকে টানা তিন মেয়াদে সরকারে রয়েছে আওয়ামী লীগ। জনগনের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। এছাড়া মহামারি এই করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করতে, দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

এ সভায় অংশ নেন- ইতালি, ফ্রান্স, জার্মান, স্পেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, গ্রীস, সুইডেন, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, অস্ট্রিয়া ও নরওয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।

ঢাকাটাইমস/২৪জুন/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :