ই-ক্যাব সদস্যদের জামানতবিহীন ঋণ দেবে প্রাইম ব্যাংক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২০, ১৮:১৬

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যদের ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ দেবে প্রাইম ব্যাংক। এবিষয়ক একটি চুক্তি হয়েছে আজ। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবদ সম্মেলনে ই-ক্যাব ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় জানানো হয়।

এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছরে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ব্যাংকিং ব্যবসাতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিংব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর হবে বলে মত এই ব্যাংকারের। তিনি বলেন, এই বিষয়টি আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে করোনা। গত তিন মাস ধরে আমরা সবজি বাজারটাও ই-কমার্সের মাধ্যমে করছি। টেলিমেডিসিন থেকে শুরু করে সব ধরনের করোনা সামগ্রী এখন ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাবেচা হচ্ছে। তাই এই খাতের উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করার জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। আশা করি ভবিষ্যতে আরও বড় হবে এ খাত। এছাড়া ব্যাংকিং ব্যবসায় জামানত নিয়ে ঋণ দেয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইতিমধ্যেই ই-কমার্স সেক্টরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমি মনে করি এটা সূচনা মাত্র। ভবিষ্যতে সব ব্যবসাই ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাবে। ই-কমার্স কে আমাদের সামনে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন এই ভাইরাস। খাতটি যেহেতু পুরোপুরি মেধাভিত্তিক, সেই কারণে এই ব্যবসার জন্য আলাদা করে কেউ জামানত সংগ্রহ করে রাখে না। তাই অনেক উদ্যোক্তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেন না।

প্রাইম ব্যাংকের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বা ব্যান্ডউইথ খাদ্যের মতো অতিপ্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে প্রাইম ব্যাংকের এ উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি সহযোগী ভূমিকা পালন করবে।

ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে চার হাজার কোটি টাকার ই-কমার্স মার্কেট রয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এর ৮৫ শতাংশই বন্ধ আছে। বাকি ১৫ শতাংশ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং করোনা পণ্যের ব্যবসা করছে। এরমধ্যে এক-তৃতীয়াংশই নারী। ভবিষ্যতে এই বাজার আরো বড় হবে। এই খাত থেকে আগামী এক বছরে পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা করেন তিনি।

শমী কায়সার আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে খাতটি এখন প্রতি মাসে ৬৬৬ কোটি টাকা লস করছে।

ই-ক্যাব থেকে আরো জানানো হয়, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ৩০ লাখ ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্রেতা রয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরে এই ক্রেতার সংখ্যা পাঁচ কোটি ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/আরএ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :