দীর্ঘক্ষণ মাস্ক ব্যবহারের ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন যেভাবে

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২০, ২১:০৭

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

করেনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ঘর-বাড়ি থেকে বের হলেও মাস্ক এখন পরতেই হবে। এত সহজে মাস্কের হাত থেকে অব্যাহতি মিলবে না। কিন্তু অনেকটা সময় মাস্ক পরে থাকার ফলে ত্বকের অবস্থা বেশ খারাপ। দীর্ঘ সময় ধরে মাস্ক পরার ফলে মুখে মাস্কের ফিতা আঁটোসাটে হয়ে লেগে থাকে। ত্বকে ব্যথাও করে। এছাড়াও অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি, ব্রেকআউটস, ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। অনেকের তো ইতিমধ্যেই ব়্যাশ দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন। কিন্তু জানেন কি? আপনার হাতের কাছেই রয়েছে এর সমাধান?

মাস্ক বেছে নেওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। সিল্ক, ডেনিম এবং সিন্থেটিক মাস্ক এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কখনই ফিটিংস মাস্ক পরবেন না। এমন মাস্ক পরা উচিত যাতে আপনাকে সঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারেন। প্রতিদিন মাস্ক পাল্টান।
 
বের হবার আগে আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যেসব সানস্ক্রিনে এসপিএফ ৪০ রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। রোদে বেরনোর ​​প্রায় ৪৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আপনি যদি বেশ কয়েক ঘণ্টা অফিসে থাকেন তবে ভেজা টিস্যু দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। 

মাস্কটি প্রতিদিন সানিটাইজ করুন। সবথেকে ভাল হয় ডিসপোজেবল মাস্কগুলো ব্যবহার করলে। তবে আপনি যদি সুতির মাস্ক পরেন তবে প্রতিদিন ধুয়ে নিন। সাবান বা অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে রোজ মাস্ক স্যানিটাইজ করা উচিত। বেশিক্ষণ পরার প্রয়োজন করলে একাধিক মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

তবে শুধু মাস্কের যত্ন নিলেই হবে না। আপনার ত্বকেরও যত্ন নিতে হবে। ত্বক যাতে হাইড্রেট থাকে, তাই প্রচুর পরিমাণে পানি খান। ভাল মানের ক্লিনজার এবং টোনার ব্যবহার করুন। ঘরোয়া পদ্ধতিতেও ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। টমেটোর রস আপনার মুখের উন্মুক্ত অংশ থেকে ট্যান সরাতে পারে। এছাড়া দই এবং মুলতানি মাটির ফেস প্যাকটিও ব্যবহার করতে পারেন। টোনার দিয়ে আপনার ত্বককে হাইড্রেট করা জরুরি। শসার রসও ত্বকের জন্য উপকারী। ঘুমাতো যাওয়ার আগে ময়েশ্চারাইজার বা হালকা ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এজেড)