নমুনা না দিয়েও করোনা শনাক্ত!

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০২০, ২২:২৩

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুষ্টিয়া পূর্ব মজমপুরের বাসিন্দা গোলাম রসুল। ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে অফিস সহকারী হিসাবে চাকরি করতেন। ২০১৭ সালে চাকরি থেকে অবসরে যান। বুধবার রাতে গোলাম রসুল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে তার বাড়িটি লকডাউন করতে যায় প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই গোলাম রসুলের। সেই সঙ্গে  তিনি আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য নমুনাও দেননি কোথাও। তবে কিভাবে তার করোনা টেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ এলো তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের ২৪ জুনের দেয়া ২৭টি করোনা পজেটিভ নমুনার মধ্যে গোলাম রসুলের নমুনা রয়েছে।

গোলাম রসুল বলেন, আমার শরীরে ঠান্ডা, জ্বর কিংবা করোনার উপসর্গ কিছুই নেই। মাঝে মধ্যে বাজারে যাই, এজন্য করোনা হতে পারে শঙ্কায় ফ্লু কর্ণারে গিয়েছিলাম। তবে আমি নমুনা দেইনি। নাম রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম।

তিনি বলেন, হঠাৎ বুধবার রাতে পুলিশ এসে বলে আমি করোনা পজেটিভ রোগী। বাড়ি লকডাউন করা হবে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুন্নাহার বেগম বলেন, হয়তো গোলাম রসুলের নাম লিখিয়ে চেয়ারে অন্যকেউ করোনা টেস্টের জন্য নমুনা দিয়েছেন। তবে যিনি নমুনা দিয়েছেন তিনি করোনা পজেটিভ। কে গোলাম রসুলের পরিবর্তে নমুনা দিয়ে গেছে আমরা তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গোলাম রসুল নামের ওই ব্যক্তি করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তিনি নমুনা দেয়ার জন্য লাইনেও দাঁড়িয়েছেন। তবে হঠাৎ তিনি চলে যান। এই সময়ে অন্য কেউ নমুনা দিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল। আমরা গোলাম রসুলের নমুনা নেয়ার ব্যবস্থা করছি।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/কেএম)