শরীয়তপুরে মানবপাচারকারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২০, ১৮:১০

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গ্রিসে গাড়ির ব্যাকডালার ভিতর আটকে রেখে তিন বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় শরীয়তপুরের জাজিরা থানায় মামলা হয়েছে। দুই মানবপাচারকারীকে অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার বিকালে মামলাটি করেন গ্রিসে নিহত আসিফ হোসেন লিমনের মা ফাহিমা আক্তার।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার বল্লবদী গ্রামের আ. রশিদ ব্যাপারীর ছেলে সাইদুর রহমান ব্যাপারীকে (৪৫)।

শুক্রবার ভোরে পুলিশ সাইদুর রহমানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। আর দ্বিতীয় আসামি ওই গ্রামের মৃত ধোনাব মাদবরের ছেলে কোব্বাছ মাদবর (৩৫)। কোব্বাছ বর্তমানে গ্রিসে রয়েছেন। গ্রিসের ওই ঘটনায় ফেনী জেলার দাগনভূইয়ার দুই বাসিন্দা নিহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, মামলায় মানব পাচারের উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আটক করে মুক্তিপণ দাবি এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, সাইদুর রহমানের মাধ্যমে হতাহত বাংলাদেশিরা তুরস্ক থেকে চোরাই পথে মাইক্রো গাড়িতে করে গ্রিসে পাড়ি জমানোর চেষ্টায় ছিলেন। সাইদুর রহমানের প্ররোচনায় তারা বিপদের মুখে পড়েন।

নিহত লিমনের বাবা তোফাজ্জল হাকিদার বলেন, আমার ছেলের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি এবং তাদের ফাঁসি দেয়া হোক। এভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে কারো মা-বাবার বুক যেন খালি না হয়।

জাজিরা থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) এমএ মজিদ বকুল বলেন, তুরস্ক থেকে গ্রিজ যাওয়ার পথে একটি গাড়ির ব্যাগডালার ভিতর নিহত লিমনসহ বাংলাদেশি তিনজনকে নির্যাতন করে গাদাগাদি করে ঢুকানো হয়। পরে শ্বাস বন্ধ হয়ে তিনজনই মারা যান। গ্রিসের আলেকজান্ডা পলি নামক স্থানের ফাঁকা সড়কের পাশে লাশগুলো ফেলে রেখে চলে যায় চালক। পরে গ্রিসে অবস্থিত দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিনজন নিহতর বিষয়ে স্বজনদের জানান। এরপর দূতাবাসের মাধ্যমে লাশ দেশে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/কেএম)