পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল উপজেলায় সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২০, ০০:৩০

কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরসহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল পাকা সড়কের গণিরহাট এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রিজের বাইপাস সড়ক পানিতে তলিয়ে ভেঙে যাওয়ায় ওই দুই উপজেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল পাঁকা সড়ক প্রশস্থকরণ কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে ওই সড়কের গণিরহাট এলাকায় অন্তার ব্রীজ ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করছে গোপালগঞ্জের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়ক যোগাযোগ সচল রাখতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন ব্রীজের পার্শ্বে দায়সাড়াভাবে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করেন যা কয়েকদিনের বর্ষনে পানিতে তলিয়ে যায়। পানির প্রবাহ বেশি থাকায় এরই মধ্যে পাইপাস সড়কের কিছু অংশ ভেঙ্গেও যায়। এতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

জেলা সদর থেকে পীরগঞ্জ হয়ে রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলায় চলাচলকারী সকল প্রকার যানবাহন সরাসরি চলাচল করতে পারছে না। যানবাহন গুলি পীরগঞ্জ হয়ে ওই ব্রীজের পূর্ব পার্শ¦ পর্যন্ত চলাচল করছে। অপরদিকে হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলা থেকে পীরগঞ্জ অথবা জেলা সদরের উদ্দেশ্যে আসা যানবাহন সমূহ পীরগঞ্জ বা জেলা সদরে আসতে পারছে না। সেগুলি ওই ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্ব পর্যন্ত চলাচল করছে। সাধারণ মানুষকে যানবাহন থেকে নেমে ভেঙ্গে যাওয়া ওই বাইপাস সড়কের পানি মাড়িয়ে অপর প্রান্তে গিয়ে আবারো অন্য যানবাহনে উঠে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রীসহ পথচারীরা।

পীরগঞ্জ থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে রাণীশংকৈলের উদ্দেশ্যে যাওয়া ফারুক হোসেন নামে এক পথচারী জানান, অন্তার ব্রীজ এলাকার বাইপাস ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারণে যেতে পারলাম না। ফিরে আসতে হলো।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে জনদুর্ভোগের বাস্তব অবস্থা দেখতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম।

তারা বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানান এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাইপাস সড়ক মেরামত করার কথা বলেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম জানান, সড়ক জনপথ বিভাগের ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হলে, তিনি সেখানে অস্থায়ীভাবে বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলেছেন। আশা করছি আজকালের মধ্যেই সেখানে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে উপজেলার নিয়ামতপুর, মছলন্দপুর ও লাছি নদীর ধারস্থ মিত্রবাটী এলাকার কিছু বাড়িতে পানি উঠেছে। এরই মধ্যে নিয়ামতপুর ও মালঞ্চা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুনকুঁড়ি কেজি স্কুল এবং মছলন্দপুর হরিবাসরে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় অর্ধশত পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :