করোনা মোকাবিলায় একজন ইউএনও সাঈকা সাহাদাত

মো. শাহিন রেজা
| আপডেট : ২৭ জুন ২০২০, ১১:৩৩ | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২০, ১১:৩২

সাঈকা সাহাদাত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ ব্যাচের ছাত্রী ছিলেন। ৩১ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করে বর্তমানে কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি পটুয়াখালী ও মানিকগঞ্জের নির্বহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অত্যান্ত মেধাবী, সৃজনশীল ও মানবপ্রেমী মানুষ হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে সবার তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে তিনি দিন রাত পরিশ্রম করছেন। বাড়িতে বাড়িতে খবার পৌঁছান, সুষ্ঠ ভাবে ত্রাণ বণ্টন, শিশু খাদ্য বিতরণ, জনসচেতনতা তৈরি, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজারের নিত্য পণ্যের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণ, আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা, করোনায় আক্রান্তদের নিয়মিত খবর রাখা, হ্যান্ড ওয়াশ ও মাস্ক বিতরণসহ নানান ধরনের সৃজনশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে করোনার বিস্তার রোধ ও অসহায় মানুষের জন্য সাধ্যের মধ্য থেকে সাহায্য করে যাচ্ছেন।

মানবতামূলক এই সব কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি পেকুয়া বাসির মনে যায়গা করে নিয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখছেন পেকুয়াকে একটি আধুনিক মডেল উপজেলায় রুপান্তরের। কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পরপরই তিনি উপজেলার সকল শেণির মানুষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতামত গ্রহণ করেন এবং সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে পরামর্শগুলো কাজে লাগিয়ে সরকারের সব ধরনের সেবা মানুষের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।

বরিশালের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম তাঁর। বাবা ৭১- এর মুক্তিযোদ্ধা। বাবার চাকরির সুবাদে ভারত ও সৌদি আরবে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন, পরবর্তীতে দেশে এসে ইংরেজী সাহিত্য অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেছেন জাবি থেকে। বিভাগের রেজাল্টেও দেখিয়েছেন কৃতিত্ব। পরবর্তীতে Northumbria University, UK থেকে MSc In International Development এর উপর নিয়েছেন উচ্চতর ডিগ্রি।

তিনি অত্যান্ত বিনয়ী, সৎ ও দায়িত্ববান অফিসার হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারে পরিচিত মুখ। করোনা কালে তাঁর মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে কেও যেন অভুক্ত না থাকে এবং করোনার বিস্তার প্রতিরোধ করা। মানুষের সমস্যার কথা জানতে ও সমাধানে দিন রাত কাজ করছেন তিনি, এমনকি রাতের বেলাতেও মানুষের বাড়িতে নিজ হাতে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। কাজ করে যাচ্ছেন করোনা ও করোনা পরবর্তী মানুষের জীবন যাত্রার মান স্বভাবিক রাখতে। এছাড়াও শিক্ষা, সংস্কৃতি, নারী ক্ষমতায়ন বাস্তবায়নে ইতি বাচক ভূমিকা রেখে চলেছেন।

মাঠ পর্যায়ের এমন চৌকস, কর্মঠ ও মেধাবী অফিসারা এ দেশের মূল্যবান সম্পদ। বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলায় ও সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের এমন তরুণ অফিসার দেশের খুব বেশি প্রয়োজন। করোনার মতো সামনের দিনগুতেও বিভিন্ন সমস্যায় জনগণের পাশে থাকবে সাঈকা সাহাদাত এবং মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা থাকবে আমাদের।

লেখকঃ শিক্ষক

ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :