সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২০, ১৮:৩৯
সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলায় টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করেছে সব উপজেলার নদ-নদীর পানি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে ডুবে গেছে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ, তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ ও তাহিরপুর বাদাঘাট সড়ক। এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সাধারণ মানুষ চলাচল করতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। ঢলের পানিতে সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে নিম্ন এলাকার বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলার তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়কে চলাচলকারী আমির মিয়া বলেন, শুষ্ক মৌসুমে সড়কে মেরামত কাজ না করায় বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আর গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কয়েকটি স্থানে সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকায় করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভর পুর-তাহিরপুর সড়কের অটোরিকশা চালক আরিফ মিয়াসহ অনেকেই জানান, এই সড়কের লালপুর, শক্তিয়ারখলার একশ’ কিলোমিটার, আনোয়ারপুর সড়কসহ কয়েকটি স্থানে পানিতে ডুবে যাওয়ায় যাত্রী নিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে নদীতে পানি বাড়ছে। এই সময়টাতে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক। বৃষ্টি বাড়লে পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়বে। মাঝারি ধরনের বন্যা হবার আশঙ্কা রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ বলেন, টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার নিচু এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রগুলো তৈরি রাখার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। আর বন্যা পরিস্থিতি ত্রাণ সামগ্রী মজুদ আছে।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/কেএম)