গ্রিসে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে অধিকার আদায়ের কর্মসূচি
গ্রিসে বিরোধী মতসহ বাম গণতান্ত্রিক দলের উদ্যোগে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি নেয়া হয়। পরবর্তী বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুক্রবার (২৬ জুন) রাজধানী এথেন্সের সংসদ ভবনের সামনে সিনদাগমা স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ এবং প্রবাসীদের বৈধতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি বিরোধী সমাবেশ।
সিনদাগমা স্কয়ারে গণজমায়েত হয়ে বিভিন্ন স্লোগানসহ ব্যানার ও পেস্টুন নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুণরায় সিনগাদমা স্কয়ারে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
যে কারণে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে অধিকার আদায়ের কর্মসূচি:
অবাধ মত প্রকাশের দেশ হলো বহু দ্বীপের দেশ গ্রিস। আগে থেকে গ্রিসে বর্ণবাদের সমর্থনে একটি অংশ থাকলেও গত ‘সিরিজা’ গণতান্ত্রিক দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালে বর্ণবাদ প্রায় নির্মূল ছিল। বর্তমান ডেমোক্রেটিক দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে সব প্রবাসীর উপর নিপীড়ন বেড়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ দিন জনগণ ঘরবন্দি ছিল। গত ১৫ জুন থেকে লকডাউন সম্পূর্ণ শিথিল করা হয়েছে। এদিকে গ্রিক জনগণের সঙ্গে প্রবাসীরাও কর্মহীন মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরপাকড়ের তৎপরতা এতই বেড়েছে যে, জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নেমে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ প্রবাসীদের বৈধতা দেয়া ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি বিরোধী বিক্ষোভে রূপান্তরিত হয়।
প্রবাসীদের সংখ্যা:
গ্রিসে ৯৪ ভাগ গ্রীক জনগণ। শতকরা চার ভাগ রয়েছে আলবানোছ। বাকি দুই শতাংশের মধ্যে রয়েছে প্রবাসী হিসেবে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, আফগানি, ইন্ডিয়ান, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক, সিরিয়ান, মিশরি, ইরানি, ফিলিস্তিনি, বুলগেরিয়ান, জর্জিয়ানসহ আরো কিছু জাতি।
বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব:
বামগণতান্ত্রিক দলের পক্ষে পেতরো, বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সিনিয়র সহসভাপতি আহসান উল্লাহ হাসান, সহসভাপতি দীপ্তি, পাকিস্তানি কমিউনিটির সভাপতি জাবেদ আসলাম, আফ্রিকার জনগণের নেতৃবৃন্দসহ অনেকে এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন। বিক্ষোভ সমাবেশে অধিকাংশ বাংলাদেশি প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
যে দেশের প্রবাসীরা বেশি সমস্যায়:
লকডাউন পরবর্তী সময়ে অনেক বাংলাদেশি গ্রিসে ঢুকেছে। ইউএনএইচসিআরের হিসাব মতে, এ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে তুর্কিতে পুশব্যাক করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ডরমিটরিতে অভিযান চালিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। সেসব হিসাবে দেখা গেছে দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিকদের মধ্যে সমস্যা বেশি।
শুক্রবারের সমাবেশ পরবর্তী বক্তব্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা দাবি আদায়ে আগামীতে আরো কঠিন কর্মসূচি নিয়ে আসবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/কেএম)