উপকূলের নারীদের পাশে শেরে বাংলার সাবেক শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২০, ১৯:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে উপকূলের নারীরা। দেশের অন্য প্রান্ত থেকে সে খবর জানতে পেরে সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। ‘সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন’র কার্যক্রমে সঙ্গে একাগ্রতা জানিয়ে উপকূলে পানিবন্দি নারীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করেছে বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনটি জানায়, সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নের নারী ও কিশোরদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্যানেটারি নেকপিন বিতরণ করে সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন। কার্যক্রমটি বর্তমানেও চলমান রয়েছে। উপকূলীয় নিম্নআয়ের মানুষকে খাবারের পাশাপাশি তারা চেষ্টা করেছিল অসহায় নারী ও কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার এই অতি জরুরি বিষয়টিও। কারণ একে তো ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দারিদ্র্য নিম্নআয়ের মানুষগুলো দিশেহারা। তার ওপর হয়ে পড়েছে কর্মহীন। এমন অবস্থায় পানিবন্দি নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি বিলাসিতা ছাড়া ভাবাই যায় না।

সহমর্মিতা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে সম্মান জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকার আগারগাও এলাকার শেরে বাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘৯৬ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী।

১৯৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী হামিদা হাফিজ ঊর্মি ঢাকা টাইমসকে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি সহমর্মিতা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দেখতে পান। এ সময় সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে পানিবন্দি মানুষের বিষয়টি দেখেন তিনি। উপকূলের নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করতে তাদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরবর্তী সময়ে সহমর্মিতার হাতে তুলে দেন স্যানিটারি ন্যাপকিন।

সহমর্মিতা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক পারভেজ হাসান জানান, দারিদ্র্যতা যাদের নিত্যসঙ্গী তাদের পক্ষে সম্ভব না কয়েক কিলোমিটার ট্রলার পাড়ি দিয়ে স্যানেটারি নেকপিন কিনে আনা। এমন দুঃসময়ে উপকূলীয় নারী ও কিশোরদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল সহমর্মিতা ফাউন্ডেশনের 'আম্পান ক্ষতিগ্রস্ত নারী ও কিশোরদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জরুরি স্যানেটারি নেকপিন বিতরণ' এই উদ্যোগটি, যা দেশব্যাপী ব্যপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। কারণ যেখানে তাদের খাবার নিশ্চয়তার বিষয়টি নিয়েই বিপাকে পড়তে হয়েছে তার ভেতর স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটা ভাবাই যায় না।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/কারই/জেবি)