‘সব কলেজ একই ডিভাইসের আওতায় আনার কাজ চলছে’

ফাইল ছবি

করোনাকালে অনলাইন কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিত করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত দেশের সব কলেজকে একই ডিভাইসের আওতায় আনার কাজ চলছে।

সোমবার বিকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৬৪ জেলার ৬৪ কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর রশিদ ।

উপাচার্য বলেন, 'কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিত করতে দেশের সকল কলেজকে একই ডিভাইসের আওতায় আনতে কাজ চলছে। এই কার্যক্রম দ্রুত করতে আইসিটি মন্ত্রণালয়কে আমরা চিঠি দিয়েছি, তারা যেন আমাদের সকল কলেজকে একই কানেকটিভিটির আওতায় আনতে তরিত্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করে।'

প্রফেসর ড. হারুন-অর রশিদ বলেন, 'শিক্ষা কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনার জন্য লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলআইএস) চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এটি নিয়ে ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাই যাতে দেশের সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা খুব সহজে এমবি কিনতে পারে এবং অনলাইন শিক্ষা-কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারে।'

অনলাইনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। সভায় সারাদেশের ৬৪ জেলার ৬৪ কলেজের অধ্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে গত রবিবার একই বিষয়ে ১৩টি শতবর্ষী কলেজ ও আটটি মডেল কলেজ নিয়ে অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন উপাচার্য।

এসময় কলেজের অধ্যক্ষরা অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় তাদের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। উপাচার্য সংশ্লিষ্ট কলেজের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষদেরকে বিরাজমান সমস্যা কাটিয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি সার্বিক সমস্যা উত্তোরণে দিক নির্দেশনা দেন।

উপাচার্য বলেন, 'অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। কীভাবে এটিকে আরও বেগবান করা যায় সে বিষয়েও কাজ করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।'

উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দীন।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/টিএটি/জেবি)