‘দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশ’

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২০, ২২:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভি মুরলীধরন (ফাইল ছবি)

ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভি মুরলীধরন বলেছেন, `দক্ষিণ-এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বন্ধত্বপূর্ণ দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। উভয় দেশের নেতারা বেশ কয়েকটি অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে যা দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক ধরে রাখতে পেরেছি। যার মাধ্যমে উভয় দেশের উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

করোনার এই চলমান মহামারিতে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ ও উদীয়মান ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি অনলাইন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক নেতাদের সাথে সম্প্রতি ‘অপর্চুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শিরোনামে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করেন শ্রী ভি মুরলীধরন।

ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান, সিআইআই-এর মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকুইনহা এই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন। তারা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ যৌক্তিকতাগুলোও তুলে ধরেন।

ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, ‘উভয় দেশের মধ্যে সুস্পষ্ট আমদানি ও রপ্তানি নিশ্চিত করতে উভয় দেশের মধ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। সেই উন্নয়ন কাঠামোকে কেন্দ্র করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের কাছে আরও বিকল্প মাধ্যম রয়েছে। তারএকটি ভালো উদাহরণ হতে পারে, দুই দেশের মধ্যে রেল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি । রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি ও আমদানি উভয় দেশই ব্যাপক লাভবান হবে।’ 

ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী ভি মুরলীধরনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

 অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘যুগ যুগ ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মানবতার একটি সম্পর্ক রয়েগেছে। আর এই মানবিকতার অবদান রেখেছেন বাংলাদেশের  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাদের নেতৃত্বে আমরা উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করতে পারছি। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নে একটি নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। যার ইতিবাচক ও উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে আমার দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়াকে বলতে পারি। তার ফলশ্রুতিতে, ২০১৯ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে ৯.৭৫ বিলিয়ন আয়।’

সার্কের কোভিড-১৯-এর জরুরি তহবিল থেকে বাংলাদেশের জন্য ১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করায় উভয় দেশের নেতাদের প্রশংসা করে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি বলেন, ‘আমরা এই নতুন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা ও দেশের অর্থনৈতিক সংকট পুনরুদ্ধারে জন্য ভারতীয় প্রতিনিধিদের সাথে কাজ করতে চাই। একই সাথে এই সংকট থেকে পুনরুদ্ধারে জন্য তাদের সহযোগিতাও কামনা করছি।’

উভয় দেশের মধ্যের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিলাটেরাল ভ্যালু চেন ইনিশিয়েটিভ (বিভিসি) এর উদ্যোগে এফবিসিসিআই বেশ কিছু শক্তিশালী খাত চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশি পণ্য উৎপাদনের কাচাঁমাল, অভ্যন্তরীণ বাজারের ক্ষেত্রে এফকিউএফ পণ্য প্রবেশাধিকার বন্ধসহ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রো- প্রসেসিং, কেমিক্যাল, পোশাক ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে বলে বক্তব্যে তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/জেআর/জেবি)