বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২০, ১৪:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে চলমান সম্পর্ক অব্যাহত রাখার বিষয়েও প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে এক টেলিফোন আলাপে মাইক পম্পেও এই প্রতিশ্রুতি দেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, দুই মন্ত্রী ফোনালাপে করোনা পরিস্থিতি ও মোকাবেলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুই দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ফোনালাপে দুই মন্ত্রী চার কোটি ৩০ লাখ ডলারেরও বেশি করোনা সহায়তা নিয়ে পর্যালোচনা করেন।

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, দুই মন্ত্রীর ফোনালাপে মোমেন যুক্তরাষ্ট্রকে সেদেশের আইডিএফসি ফান্ডের আওতায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিযোগের আহবান জানিয়েছেন। মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের অনুরোধ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক, তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল এবং বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের সহজ লভ্যতার কারণে এ দেশে  বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে।’

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে দুই বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল করায় এ খাতে কর্মরত শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে, যার অধিকাংশ মহিলা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, মানবপাচার রোধে টিআইপি রিপোর্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধাপে উন্নয়নের প্রশংসা করেন মাইক পম্পেও।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাইক পম্পেওকে অনুরোধ করেন।

এছাড়াও টেলিফোনে আলাপাকলে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও জানায়, ফোনালাপের সময় করোনা মহামারি মোকাবিলায় জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন করে বাংলাদেশের ভূমিকা রাখার বিষয়টিও উঠে আসে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে উদারতা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৮২ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এর বেশিরভাগই বাংলাদেশে পরিচালিত কর্মসূচিতে ব্যয় হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এনআই/ইএস)