শাঁখা-সিঁদুর পরতে অস্বীকৃতি, ডিভোর্সের অনুমতি ভারতের হাইকোর্টের

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২০, ১৬:২৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

কোনো হিন্দু নারী যদি শাঁখা-সিঁদুর পরতে অস্বীকার করেন, তার অর্থ তিনি বিবাহকেই অস্বীকার করছেন- ভারতের গুয়াহাটি হাইকোর্ট সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী শাঁখা-সিঁদুর পরতে চাইছেন না। তাকে বিবাহ বিচ্ছেদের অনুমতি দেওয়া হোক। বিচারপতিরা সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে ফ্যামিলি কোর্টে স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট ভিন্ন রায় দিয়েছে। খবর দ্য ওয়ালের।

ফ্যামিলি কোর্ট বলেছিল, স্ত্রী শাঁখা-সিঁদুর পরতে অস্বীকার করেছেন বলেই তিনি স্বামীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন, এমন বলা যায় না। কিন্তু হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা ও বিচারপতি সৌমিত্র শইকিয়া বলেন, ওই নারী অবিবাহিত থাকতে চান। তাই তিনি শাঁখা-সিঁদুর পরতে অস্বীকার করেছেন। তিনি ওই ব্যক্তির স্ত্রী হতে চান না।

২০১২ সালে তাদের বিবাহ হয়। তারপরেই শুরু হয় মতবিরোধ। ওই নারী স্বামীর আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করেন। ২০১৩ সালের ৩০ জুন থেকে স্বামী ও স্ত্রী আলাদা বসবাস করতে থাকেন।

ওই নারী পুলিশে অভিযোগ জানান, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপরে অত্যাচার করেছেন।

গুয়াহাটি হাইকোর্টের বিচারপতিরা বলেন, অভিযোগকারিণী অত্যাচারের প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাদের কথায়, 'সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট বলেছে, কোনো নারী যদি স্বামী বা স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যাচারের মিথ্যা অভিযোগ তোলেন, তাহলে ধরে নিতে হবে, তিনি শ্বশুরবাড়ির সকলের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন।'

ঢাকা টাইমস/৩০জুন/একে