বড় কষ্ট পেয়ে এটাই আপাতত শেষ লেখা

প্রকাশ | ৩০ জুন ২০২০, ১৮:২২

এ্যাড.তারানা হালিম

আজকাল খবরের কাগজ রাখি-যদি দরকার হয় কোন তথ্যের জন্য কেবল সে কারণে ,তবে পড়ি খুব কম। আমি আবেগ'প্রবণ। এটা আমার দোষ। আমি তা জানি। কিন্তু অচেনা মৃত মানুষগুলো তা হোক সড়ক বা নৌ দূর্ঘটনায়,বা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়া ওরা আমার কেউ না এমনটি আমি ভাবতে পারি না। অনেকবার আল্লাহর কাছে চেয়েছি— আমাকে একটু অন্যরকম করে দাও।

অন্যের কষ্টে কষ্ট পেলে অনেক কষ্ট হয়। আল্লাহ কেন যেন আমার দোয়া কবুল করেন। আমি তার অনেক প্রমাণ পেয়েছি। কিন্তু আমার আবেগশূণ্য হবার দোয়াটা কবুল হলো না। এত মৃত মানুষের পাশে সন্তানের আহাজারি,বাঁচাবার চেষটায় ব্যর্থ চিকিৎসক এর অসহায় লাশের পাশে অসহায় বসে থাকার দৃশ্য আমাকে কষ্ট দেয়। ভীষণ কষ্ট। কল ও ইন্টারনেট এর রেট কমানো হচ্ছে প্রায় নিশ্চিত হয়ে খবরটি দিয়েছিলাম।

আইনজীবী বলে কোন কিছু নিজ চোখে না দেখলে “যদি হয়”-লেখাটি যুক্তিযুক্ত ,তাই প্রায় নিশ্চিত হয়েও “যদি” শব্দটি ব্যবহার করেছিলাম.. নয়তো আপনাদের কাছে মিথ্যাবাদী হয়ে থাকতাম। তবে আমি আজ প্রতিজ্ঞা করে বলছি “ করোনা পরীক্ষার ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত “ পরিবর্তন করে,বা বিনামূল্যে তা করার ব্যবস্হা না করা হলে আমি আমার এই পেইজে আপাতত আর কোনদিন কিছু লিখবো না।

এ ছাড়া আমার চাওয়ার গুরুত্ব বোঝাবার আমার আর কোন ক্ষমতা বা উপায় নেই (ফি বৃদ্ধি করলে বহু মানুষ অর্থের জন্য টেস্ট করাবে না। infection tracing, isolation করা যাবে না তাদের,এতে infection rate বাডবে)। জানি পদে না থাকলে শোনার কেউ থাকে না।

তবে নিজের বিবেকের কাছে আমি দায়ী থাকবো না বলে আমার কর্তব্য আমি পালন করে গেলাম। খোদাহাফেজ। চাওয়াটা পূরণ হলে আবার লিখব। নয়তো এটিই আপাতত শেষ লেখা।

লেখক: সভাপতি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট

ঢাকাটাইমস/৩০জুন/এসকেএস