রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারী অর্ন্তভুক্তি নিশ্চিতের দাবি

নির্বাচন কমিশনের করা আইনে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অর্ন্তভুক্তি নিশ্চিতে সময়সীমা বেধে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাগেরহাট নারী উন্নয়ন ফোরাম। মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি হয়।

এসময় বক্তারা জানান, ২০০৮ সালের আরপিও সংশোধনীতে নির্বাচন কমিশনের প্রণীত আইনে ২০২০ সালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলে ৩৩ শতাংশ নারীকে অর্ন্তভুক্তির শর্ত রাখা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সেই শর্ত না মানায় নির্বাচন কমিশন তাদের প্রণীত আইনে পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে। ইতোমধ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করতে খসড়া প্রস্তাবনা তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন ২০২০ নামে এই আইনটি হতে যাচ্ছে। এতে আগের আইনের বিধানগুলো সংযোজন বিয়োজন করে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সময়সীমা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব আনা হয়েছে। ওই খসড়া আইনের কপি সকল রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠিয়ে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।

তাদের অভিযোগ, ২০০৮ সাল থেকে আজ ২০২০ সাল। প্রায় এক যুগ আগের করা নির্বাচন কশিনের আইনটি তাদের মনিটরিংয়ের অভাবে আজও বাস্তবায়ন হয়নি। নির্বাচন কমিশনের আইন কেউ মানছে না এই অজুহাতে তা বাতিল করার অপচেষ্টা চলছে। এ আইন বাতিল হলে নারীর অগ্রগতির ইতিহাসে কালো অধ্যায় রচিত হবে।

তারা আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনসাধারনের জীবনে সিদ্ধান্ত গ্রহনে নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্বে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। সুতরাং আইন বাতিল না করে রাজনৈতিক দলগুলোতে ৩৩ শতাংশ নারীর অর্ন্তভুক্তির সময়সীমা বাড়াতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, সাধারণ সম্পাদক রাবেয়া রহমান, বাগেরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফা খানম, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তানিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আফরোজ, জেলা পরিষদের সদস্য আফরোজা আক্তার লীনা, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পারভীন আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/৩০জুন/পিএল