পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে সাঁতার শেখা খুবই প্রয়োজন

ইয়াহিয়া মির্জা
 | প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২০, ১০:৪৯

ঢাকার নদী হিসেবে বেশি পরিচিত বুড়িগঙ্গা। ছোট্ট এই নদীর বুকে লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে ২৯ জুন সোমবার সকালে। এতে মারা গেছে ৩০ জনের বেশি মানুষ। যারা সাঁতার জানেন এমন কয়েকজন প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তবে লঞ্চের ভেতরে যারা আটকা পড়েছিলেন, তারা হয়তো সাঁতার জানলেও বের হওয়ার সুযোগ পাননি। আর যারা সাঁতার জানেন না, তারা পানিতে ডুবে গেছেন সহজেই।

এই করুণ ঘটনায় সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে গেছে। আমরা করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিদিন মৃত্যুর খবর দেখতে পাচ্ছি। এরমধ্যে আবার নৌপথের এই দুর্ঘটনা দুঃখজনক। আসলে এটাই বাস্তবতা যে আমাদের দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় ৬৪ জন মানুষ। ২ বছর আগে একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জেনেছিলাম। এর সঙ্গে যদি রেল, নৌ দুর্ঘটনা যুক্ত হয়, তাহলে প্রতিদিন গড়ে মৃত্যু প্রায় ১০০ হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ যেহেতু নদীমাতৃক দেশ তাই নৌদুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এটা কমাতে অবশ্যই সবাইকে সতর্ক হতে হবে। ত্রুটিযুক্ত নৌযান পানিতে নামানো যাবে না। আর নৌপরিবহনে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। নৌপথে চলার সময় নিয়মিত আবহা্ওয়ার সংবাদ জানতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এখানে আরো একটা বিষয় বলে রাখি পানিতে ডুবে যে মৃত্যু তা প্রতিরোধে সবার সাঁতার শেখা খুব দরকার। কারণ সাঁতার না জানার কারণে পানিতে পড়ে গেলে অনেকে মৃত্যুর কাছে সহজে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু সাঁতার জানলে জীবনের জন্য লড়াই চালানো যায়।

আমরা যে প্রায়ই খবর পাই, ভ্রমণে গিয়ে পানিতে প্রাণহানি। এসব ঘটনার শিকার বেশিরভাগ ভূক্তভোগী শহরের তরুণরা। আর তাদের প্রায় সবাই সাঁতার শিখতে পারেনি। তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমাদের ঢাকা শহরের কথা যদি চিন্তা করি, এখানে কিন্তু পুকুর নেই, খাল নেই। যেগুলো আছে, সেগুলোও আবর্জনায় ভরপুর। তাই বাসাবাড়ির বাথরুমে গোসল করা ছাড়া উপায় নেই আমাদের। এ কারণে ঢাকা শহরে শিশুদের আর সাঁতার শেখা হয় না।

আর এ ধরনের বিষয় ছোটবেলায় শেখা যতো সহজ বড় হলে শেখা ততো সহজ নয়। এর সমাধান হিসেবে আমরা শহরের শিশুদের সুইমিংপুরে ভর্তি করে দিতে পারি। আমরা হয়তো এ ধরনের সুযোগ পাইনি। এখন কিন্তু সাঁতার শেখায় এমন প্রফেশনাল সুইমিংপুল ঢাকা শহরে আছে। আমার ছেলেকে সাঁতার শেখাতে ভর্তি করে দিয়েছিলাম বর্তমান বিজিবি সদরদপ্তরের ভেতরে থাকা পুলে। মেয়েকে ভর্তি করেছিলাম ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের সুইমিং পুলে।

পরিশেষে বলছি, দুর্ঘটনায় করুণ মৃত্যু আর দেখতে চাই না। আসুন, আমরা সবাই সতর্ক থাকি চলার পথে। আর করোনার এই সময়ে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাই- ঘরেই থাকি।

লেখক: হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক

ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :