কুমিল্লায় করোনার মধ্যে পরিবহনে চাঁদাবাজি

বৈশ্বিক মহামা্রি করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে কুমিল্লায় চলছে গণপরিবহনে চাঁদাবাজি। সড়কে গাড়ি থামিয়ে কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা তুলছে বলে চালকদের অভিযোগ।

কল্যাণের নাম করে চাদা আদায় বন্ধের দাবিতে সিএনজিচালতি অটোরিকশা চালকরা লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কুমিল্লা-লাকসাম আঞ্চলিক মহাসড়কে লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার ও পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকায় চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য বেশি।

ভুক্তভোগী চালকদের অভিযোগ, বাগমারা বাজারে কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে টোকেনের মাধ্যমে চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। টাকা না দিলে গাড়ির চাবি নিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।

খালেক, মোমিন, মোসলেমসহ একাধিক সিএনজি অটোরিকশা চালক জানান, তারা ২০০৪ সাল থেকে সিএনজিচালতি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন (নং ১৫৬৯) নামে একটি সংগঠনের মাধ্যমে কুমিল্লা-লাকসাম সড়কে গাড়ি চালিয়ে আসছেন। পথে পথে কোনো চাঁদা দিতে হয়নি। কিন্তু গত মে মাস থেকে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা বাগমারা বাজারে দাঁড়িয়ে সিএনজিচালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছেন।

চালকদের অভিযোগের বিষয়ে কুমিল্লা টমছম ব্রিজ সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের (১৫৬৭) সাধারণ সম্পাদক মো. আলম জানান, সড়কে দাঁড়িয়ে চাঁদা আদায় করার কোনো নয়ম নেই তাদের সংগঠনে। কুমিল্লা-লাকসাম রোডের পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এবং বাগমারা বাজার এলাকায় কিছু লোক রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সিএনজিচালকদের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা আদায় করছেন এমন অভিযোগ পেয়েছেন।

মো. আলম বলেন, ‘যারাই চাঁদা আদায় করছেন তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে করছেন। আমরা এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা চাই।’

চাঁদা নয়, চালকদের কল্যাণের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন বাগমারা বাজার এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. শফিক ক্যাশিয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা হারে কল্যাণের টাকা নিচ্ছি। এর বাইরে কোনো টাকা উঠানো হচ্ছে না। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন আমাদের কার্যক্রম তদন্ত করে দেখেছেন।’

চালকরা বলছেন, কল্যাণের নামে মূলত চাঁদাবাজি ও হয়রানি করা হচ্ছে তাদের। এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে লালমাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ইয়াসির আরাফাতের কাছে তারা লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সিএনজিচালতি অটোরিকশার একটি পরিবহন সংগঠন থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে লালমাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/মোআ)