সাবধান হ্যাক হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ১১:১০

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সাইবার ক্রিমিনালদের নিশানা থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য ওঁতে পেতে বসে আছে তারা। প্রতারক চক্রের মূল উদ্দেশ্য কোনও ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক করে তার মাধ্যমে ওই ব্যক্তির বন্ধু বা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা আদায় করা। 

হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অ্যাকটিভ না থাকলে খুব সহজেই ব্যবহারকারীকে লক করে দেবে সাইবার অপরাধীরা। এর পরে নিজেদের কাজ শুরু করবে তারা। 

জালিয়াতরা প্রথমে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করবে। এটি নিয়ে কারও যাতে কোনও সন্দেহ না হয় তাই ওই ভুয়া অ্যাকাউন্টে হোয়াটসঅ্যাপের অফিসিয়াল লোগো ব্যবহার করবে তারা। এর পরে টার্গেট ব্যক্তির কাছে একটি মেসেজ পাঠানো হবে। মেসেজে বলা হবে, নিজের পরিচয় নিশ্চিত করতে ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন পিন টাইপ করুন। বিশ্বাসকরে ব্যবহারকারী সেই পিন দিয়ে দিলেই সর্বনাশ। ভেরিফিকেশন পিন হাতে পেলেই হ্যাকারদের পক্ষে ওই অ্যাকাউন্ট হাইজ্যাক করে নেওয়া যথেষ্ট কাজ হয়ে দাঁড়াবে। এর পরে ওই পিনের সাহায্যে তাদের টার্গেটের ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে লগইন করার চেষ্টা করবে।

কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন

যত কাছের লোকই হোক না হোক না কেন, কখনও কাউকে ভিরিফিকেশন কোড জানাবেন না। হোয়াটসঅ্যাপসহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সময় টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অ্যাকটিভ রাখতে হবে। এর ফলে ওই অ্য়াকাউন্টের নিরাপত্তা আরও মজবুত হয়। সেক্ষেত্রে সাইবার হানাদাররা ফেরিফিরেশন কোড পেয়ে গেলেও কোনও অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করার জন্য আরও একটি পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হয়। সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যে, কোনও সাশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধি গ্রাহকের থেকে ভেরিফিকেশন পিন চান না। আর কাউকে একান্তই পিন জানানোর প্রয়োজন হলে সঙ্গে সঙ্গে নিজের অ্যাকাউন্টটি চেক করে দেখে নিন।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/এজেড)