ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বয়কটের ডাক নামিদামি প্রতিষ্ঠানের

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ জুলাই ২০২০, ১১:২৯ | প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০২০, ১১:২৪

ঘৃণা এবং বর্ণবিদ্বেষমূলক পোস্ট সেন্সর না করায় ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বয়কটের ডাক দিয়েছে বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠান। যদিও ফেসবুক ঘৃণা ও বর্ণবিদ্বেষমূলক পোস্টে লেবেল লাগাবে বলে জানিয়েছে। কোকা-কোলা থেকে শুরু করে হোন্ডা, হার্শলের মতো ব্র্যান্ড ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বর্জনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর মানুষের প্রতিবাদে রুষ্ট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পোস্ট-সহ ফেসবুকের কনটেন্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল বিগত কিছু দিন ধরেই। ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি সংস্থা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বর্জন করার ঘোষণা করেছে। তার মধ্যেই রয়েছে নামিদামি বহু ব্র্যান্ড। এদিকে সমগ্র পরিস্থিতিতে ব্যাপক চাপে রয়েছে ফেসবুক।

কোকা-কোলা ছাড়াও ইউনিলিভার তাদের বেশ কিছু পণ্যের বিজ্ঞাপন ফেসবুকে বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। চলতি বছরে এই সংস্থা ফেসবুক, ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রাম-- কোনও সোশ্যাল মাধ্যমেই তাদের বিজ্ঞাপন দেবে না বলে জানিয়েছে। ইউনিলিভার ছাড়াও আমেরিকার স্মার্টফোন সংস্থা ভেরিজন ফেসবুক ছাড়ার ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে ইউজারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ফেসবুকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়েছে ভাইবার কর্তৃপক্ষ।

ভাইবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভাইবার অ্যাপ থেকে ফেসবুক কানেক্ট, ফেসবুক এসডিকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে খুব শিগগিরই। পাশাপাশিই ফেসবুকে কোনও বিজ্ঞাপনও দেবে না বলে জানানো হয়েছে ভাইবারের তরফে।

তবে প্রতিবাদে মুখরিত ভাইবারের পদক্ষেপ এখানেই থেমে থাকছে না। ফেসবুকের বিরুদ্ধে বড়সড় আন্দোলনে নামতে চলেছে তারা। এমনকী ফেসবুক বয়কটের জন্যও তারা মাঠে নামবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশিই 'হেট স্পিচ' থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ফেসবুকে বিজ্ঞাপন বন্ধ করার জন্য অন্যান্য সংস্থাগুলোকেও আহ্বান করেছে তারা। গত ২৫ মে আমেরিকার মিনেসোটার মিনিয়াপোলিস শহরে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহত হওয়ার দেশজুড়ে মানুষজন বিক্ষোভে সামিল হন। পরে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেসবুক এবং ট্যুইটারে লেখেন, "লুটপাট শুরু হলে গুলিও শুরু হবে।"

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফেসবুক ও ট্যুইটারের উপরে রীতিমতো চাপ এসে পড়েছিল। আর এই চাপের মুখেই ফেসবুকের নানা নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন জুকারবার্গ।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা