বগুড়ায় বিভিন্ন দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অবস্থান কর্মসূচি

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০২ জুলাই ২০২০, ২১:৫৬ | প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০২০, ১৯:৩১

বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বগুড়ার বাম গণতান্ত্রিক জোট। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথায় এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।

এসময় বিনামূল্যে সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করো, স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ করো, রাষ্ট্রীয় খরচে করোনা টেস্ট ও চিকিৎসা নিশ্চিত করো, রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের চক্রান্ত রুখো, জ্বালানীর দাম বছরে একাধিকবার বৃদ্ধির বিল প্রত্যাহার করোসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড জোটের নেতাদের হাতে ছিল।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- বাসদ জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পল্টু, সদস্য সচিব সাইফুজ্জামান টুটুল, সিপিবি জেলা নেতা সন্তোষ কুমার পাল।

বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম পল্টু বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ একটি বৈশ্বিক মহামারী। তাই এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা সরকারি উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় খরচেই করতে হবে। যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০০০ নমুনা পরীক্ষা দরকার এবং প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন তা না করে সরকার এখন করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করেছে। যার মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি আরও স্পষ্ট হয়েছে। সরকার চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য খাতকেও ব্যবসায়ীদের মুনাফার দৃষ্টিতে দেখছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য ৩৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যদি এক পরিবারে ৪/৫ জনের করোনা পরীক্ষা করতে হয় তাহলে ২০/২৫ হাজার টাকা লাগবে। এ ব্যয় নির্বাহ করা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত গরিব সাধারণ মানুষের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তাই করোনা টেস্টের ফি নেওয়া বন্ধ করা এবং সকল বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে বিনামূল্যে সকল নাগরিকের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও দুর্নীতিমুক্তভাবে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল ফরিদ বলেন, ‘পাট এবং পাটকল বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত। স্বাধীনতার পর দেশে মোট ৭৭টি পাটকল ছিল। গত ৪৯ বছরে শাসক শ্রেণির দুর্নীতি ও বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র পরামর্শে গৃহীত ভুলনীতির ফলে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ প্রায় ৫০টির বেশি পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সারা দুনিয়ায় এখন পলিথিনসহ কেমিক্যাল দ্রব্য বর্জনের ফলে পাট ও পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও চাহিদা বাড়ছে। অথচ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো সরকার বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। করোনা প্রেক্ষাপটে পরিবেশগত কারণে পাটপণ্যের বর্ধিত বাজার বেসরকারি পাটকল মালিকদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে ছাড়ার উদ্দেশ্যেই রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তাই অবিলম্বে সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই।’

সংসদে বাজেট অধিবেশনে জ্বালানির দাম পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে অন্য বক্তারা বলেন, ‘সংসদের বাজেট অধিবেশনে একাধিকবার জ্বালানির দাম পরিবর্তনের জন্য এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল ২০২০ উত্থাপিত হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে সরকার বাস্তবে জ্বালানির দাম পরিবর্তন নয়, দাম বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই সংশোধনী নিয়ে এসেছে। যা জনগণের জীবনযাত্রাকে আরও বিপদাপন্ন করবে। বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকার পরও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম না কমিয়ে উপরন্তু বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে মুনাফা করার সুযোগ দিতেই চাহিদা না থাকলেও উৎপাদন না করেও বসিয়ে বসিয়ে তাদের টাকা দিতে হচ্ছে।’

ঢাকাটাইমস/২জুলাই/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :