আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙনের কবলে বিদ্যালয়

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০২০, ১৯:৩৭

নওগাঁর আত্রাইয়ে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আত্রাই নদীর পানি। ফলে উপজেলার আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চলতি বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের পেছন দিক এবং খেলার মাঠের কিছু অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। বর্ষায় বিদ্যালয়টি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

অনগ্রসর শিশুদের শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে ১৭৫৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিদ্যালয়টি। নদী ও বিলে আবৃত আটগ্রাম মানুষের শিক্ষার উন্নয়ন ঘটলেও পিছু ছাড়েনি তাদের দুর্যোগ এবং রাস্তা-ঘাটবিহীন চলাফেরাসহ নদী ভাঙন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সঙ্গে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কালিকাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম আটগ্রাম। গ্রামের পূর্বদিকে ছোট যমুনা নদী দক্ষিণে আত্রাই নদী এবং পশ্চিমে রয়েছে বিরাট আকারের বিল। বর্ষাকালে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রামের মানুষের এপাড়া-ওপাড়ায় যাতায়াতে একমাত্র নৌকায় ভরসা।

নদীর পাড়েই রয়েছে আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যালয়ে ছয় কক্ষের দুটি ভবন রয়েছে। ভবনের পেছনেই রয়েছে নদী। সেখানেও রয়েছে বেশ কিছু ভাঙনের চিহ্ন যা বিদ্যালয়ের কিছুটা জমি ইতোমধ্যে গ্রাস করেছে। আর বিদ্যালয়ের দক্ষিণে রয়েছে বড় একটি ভাঙন। মাঠের অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে এই ভাঙন। ভাঙনটি ক্রমান্বয়ে বিদ্যালয় ভবনের দিকে এগিয়ে আসছে। বর্তমানে ভাঙন ভবনের কাছাকাছি আসায় বিদ্যালয় রক্ষা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষক ও এলাকার মানুষ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল উদ্দিন বলেন, এক একর ২৪ শতক জমির উপর ১৭৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫৬ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক আছেন ছয়জন, আর এমএলএসএস একজন।

বিদ্যালয়টি এলাকার মধ্যে যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ৮/১০ শতক জমির অংশ নদীতে চলে গেছে। পানির স্রোত এতো বেশি যে ভাঙন ক্রমেই বেড়ে এগিয়ে আসছে বিদ্যালয় ভবনের দিকে। ভাঙনের কারণে বর্তমানে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কার মুখে রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা দুই বার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুদানে গত সাত-আট বছর আগে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু নদীর স্রোতের কারণে তা বিলীন হয়ে গেছে। নদীতে ব্রিজ এবং রাস্তা-ঘাট সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট যমুনা নদী অনেকটা জমি গ্রাস করেছে। আমরা নদীর পাড়ে বনজ গাছ রোপণ করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারিনি। বিদ্যালয়ের উত্তর ও পূর্ব পাশে নদীর পাড় প্যালাসাইট দিয়ে বাঁধ দেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা মাসিক সমন্বয় কমিটির আগামী সভায় বিদ্যালয় ভাঙনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :