হত্যার আসামি হয়ে তিন অ্যাম্বুলেন্স চালক আত্মগোপনে, ভোগান্তিতে রোগীরা

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ২২:২৯

পিরোজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

পিরোজপুরে পৃথক দুটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে তিন অ্যাম্বুলেন্স চালক আত্মগোপনে রয়েছেন। এ অবস্থায় জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত ও চরম ভোগান্তির মুখোমুখী রোগী এবং তাদের স্বজনরা।

আত্মগোপনে থাকা তিন চালক হলেন, পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মোতালেব শেখ ও তার ছেলে সুমন শেখ এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অ্যাম্বুলেন্স চালক কবির হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুন জেলা সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার খানাকুনারিয়া গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কৃষক এনায়েত হোসেন মোল্লাকে (৬০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন জেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক মোতালেব ও তার ছেলে সুমন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ জুন মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া গত ২৪ জুন পিরোজপুর টাউন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তুষার শেখ (১৪) ঘুরতে গিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে পা ভেঙে যায়। তাকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। ওই সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক কবির স্থানীয় একটি ভুয়া ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিতে পরামর্শ দেয়। ওই ক্লিনিকে পিরোজপুর হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ও নৈশপ্রহরীসহ স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারের দুই ছেলে ভুয়া চিকিৎসক আলী হাসান লিয়ন ও তার ছোট ভাই আলী ইমাম তুষারের পায়ে অপারেশন করেন। এতে ওই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরের দিন ২৫ জুন নিহত তুষারের বাবা সোহাগ শেখ অ্যাম্বুলেন্স চালক কবিরসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মিরাজুল ইসলাম জানান, তার বোন ফিরোজাকে নিয়ে বুধবার বিকালে খুলনা যেতে চাইলে অ্যাম্বুলেন্স সংকটে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে নিতে হয়েছে।

পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. হাসানাত ইউসুফ জাকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জেলা হাসপাতালের দু’জন অ্যাম্বুলেন্স চালক হত্যা মামলায় আত্মগোপনে রয়েছেন। বিষয়টি বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়কে জানানো হয়েছে। শিগগির জরুরি সেবায় অ্যাম্বুলেন্স ‘চালক সংকট’ সমাধান করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/কেএম)