করোনায় রামসাগর দীঘির সৌন্দর্য বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
 | প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২০, ১৩:৫৮

করোনার কারণে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দিনাজপুরের জাতীয় উদ্যান ঐতিহাসিক রামসাগর দীঘি এখন জনশূণ্য। ফলে গত কয়েক মাসে আড়াই শতাব্দির বেশি পুরনো এই দীঘির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। গাঢ় সবুজে মুগ্ধ রূপ ধারণ করেছে উদ্যানের প্রকৃতি। দীঘির পানিতেও এসেছে স্বচ্ছতা, ফুটছে শাপলা। মানুষের অনুপস্থিতিতে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। প্রকৃতির এ নৈসর্গীক রূপ যেন এক নতুন জীবনের আহ্বান।

অনাবৃষ্টির কারণে প্রজাদের চাষাবাদ ও পানির চাহিদা পূরণে মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫০-১৭৫৫ সালে খনন করেন এই দিঘী। ১০৩১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৬৪ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট এই রামসাগরকে ২০০১ সালে জাতীয় উদ্যানের স্বীকৃতি দেয় সরকার।

দীঘির শান্ত শীতল জলের বিশালতা, চারপাশের বৃক্ষরাজি ও আশপাশে ফড়িং এর আনা-গোনা, সঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতি পাখির অবাধ বিচরণ ও কলকাকুলি। এই চিত্রই বলে দিচ্ছে, মানুষের বাধ্যগত অবসরে প্রকৃতি কতোটা বিশুদ্ধ, কতোটা সুন্দর পরিবেশ। এলাকার বাসিন্দারাও খুশি এই অপরূপ সৌন্দর্যে।

উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় অজগর সাপ ডিম পেরেছে। চিত্রা হরিণ নতুন নয়টি হরিণ সাবকের জন্ম দিয়েছে। রয়েছে এলামুন্ডা, থুজা, দেবদারু, সাইকাস, অপরাজিতা, নয়নতারা গোলাপ, সোনালু, ক্যাকটাস, জামরুল, হরতকি, পাল্ম, খেঁজুরসহ অসংখ্য উদ্ভিদ। উদ্ভিদের পরিচর্যাকারীরাও খুশি পাল্টে যাওয়া প্রকৃতির এ সুন্দর রূপে।

বহমান এই সুন্দর পরিবেশ ধরে রাখতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশবিদরা।

রামসাগর দীঘির তত্বাবধায়ক সাদেকুর রহমান জানিয়েছেন, রামসাগর দীঘির ৬৮ দশমিক ৫৪ একর পাড়ভূমি স্থলভাগ বন বিভাগের আওতায় এবং ৭৭ দশমি ৯০ একর জলভাগ দীঘি নিয়ন্ত্রণ করছে জেলা প্রশাসন।

ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :