কসবায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থসহায়তার তালিকায় প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ জুলাই ২০২০, ২০:০৬

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে আড়াই হাজার টাকা প্রাপ্তির জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার একাধিক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে গত ২১ থেকে ২৪ জুন চার জনপ্রতিনিধির নামে অভিযোগ জমা পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে।

২১ জুন কসবা পৌরসভার কাউন্সিলর মো. আবু জাহের, ২২ জুন কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মানিক মিয়া, ২৩ জুন খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির আহম্মেদ খান ও ২৪ জুন বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন ভূঁইয়ার নামে এসব অভিযোগ দেয়া হয়। অনুলিপি দেয়া হয় কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও।

কসবা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবু জাহেরের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগে ১১টি নাম উল্লেখ করা হয়, যাদের সঙ্গে তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তাদের মধ্যে একাধিক বিত্তশালী রয়েছে বলে দাবি করা হয়।

আত্মীয়তা, বিত্তশালী, নিজের অনুসারী, পৌরসভার বাসিন্দা, ভুল তথ্য দিয়ে নাম তালিকাভুক্তির ভিযোগ আনা হয়েছে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগের সঙ্গে ৩৪ জনের নামের তালিকা দেয়া হয়।

খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ৩৩ জনের নাম তালিকাবদ্ধ করার অভিযোগ করা হয়। তালিকায় স্বজনের নামের পাশে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর, একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি, বিত্তশালীদের নাম রয়েছে বলে অভিযোগ। তালিকায় মুসলেম খানের ছেলে শাহাদাৎ খানের নাম থাকলেও ফোন নম্বর দেয়া আছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির আহমেদ খানের।

সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ১২০ জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে সৌদি প্রবাসী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিত্তশালীদের নাম রয়েছে।

তালিকায় আত্মীয়-স্বজনের নাম থাকার কথা স্বীকার করে পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মানিক মিয়া দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। যে আত্মীয়-স্বজনের কথা বলা হচ্ছে, তারা খুব গরিব।

খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির আহমেদ তালিকায় দু-একটা ভুল থাকতে পারে বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমার আত্মীয় খুব গরিব। শাহাদাত খানের নামের সঙ্গে যে আমার ফোন নম্বর গেছে সেটা আমি জানি না। অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকা হয়। আর কোনো মেম্বার তালিকা দিতে গিয়ে স্বজনপ্রীতি করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তালিকায় নিজের কোনো আত্মীয়-স্বজনের নাম নেই বলে দাবি করেন বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আল-মামুন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘মেম্বারদের মাধ্যমে নাম এনে সকলে সিদ্ধান্ত নিয়ে তালিকা দেয়া হয়। এরপর শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই-বাছাই করেব।’

ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আবু জাহের বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনের নাম থাকলে কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করব। মূলত মেয়রের পক্ষের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় সেগুলো ঢাকতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :