ফরিদপুরে বন্যায় ডুবে গেছে সড়ক-ফসলি জমি

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২০, ২৩:২২

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গোয়লন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৬ সে. মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার বিকাল ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ মাস্টার ইদ্রিস আলি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ৯ দশমিক ১১ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৮ সে.মি।

এদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর সদরের তিনটি ইউনিয়ন নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর ও আলীয়াবদ ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

নর্থ চ্যানেলে পানি বাড়ায় ২০ একর জমির ভূট্টা, আইশ ও তিল ডুবে গেছে।

এছাড়াও ইউনিয়নের পুরাতন মোহনমিয়ার হাট এলাকার একটি সড়কের ২০ মিটার অংশ পানিতে ধসে গেছে। এছাড়া গোলডাঙ্গী সড়ক, বারান বিশ্বাসের ডাঙ্গী এলাকার সড়ক, কাইমুদ্দীন মাতুব্বরের ডাঙ্গি এলাকার তিনটি সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনেই পানি বাড়ছে। তবে পানি বাড়ার গতি কম। যে জমি তলিয়ে গেছে, তাতে আউশ ধান সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে গেছে।

সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জানান, পানি বেড়ে তার ইউনিয়নে ৩৩০ একর জমির ভূট্টা আউশ ধান এবং বাদাম তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তার ইউনিয়নের ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি।

এদিকে আলীয়াবাদ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরে অবস্থানরত তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, ইউনিয়নের সাদীপুর ও গদাধরডাঙ্গী গ্রামের পানিবন্দি হওয়া ওই তিনশ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের সদর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গী ভাঙ্গার মাথায় বালিয়াডাঙ্গি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নদী তীরের ভেঙে যাওয়া ৩০ মিটার অংশ বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করেছে। এ কাজে ৬০০ বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে মধুমতি ও পদ্মা নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করতে।

(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/এলএ)