২১ দিনের জন্য ‘অবরুদ্ধ’ ঢাকার ওয়ারী

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২০, ০০:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোভিড-১৯ তথা করোনা সংক্রমণের হারে রেড জোনে থাকা পুরান ঢাকার ওয়ারীর চিহ্নিত এলাকাগুলো শনিবার সকাল ৬টা থেকে লকড ডাউন তথা অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। টানা ২১ দিন এই ‘লকড ডাউন’ অবস্থা কার্যকর থাকবে।

অবরুদ্ধ এলাকায় ৪ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি চলবে। তবে জরুরি পরিষেবা এ সাধারণ ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। লকডাউন চলাকালে হত দরিদ্রদের জন্য ত্রাণসহ অন্যান্য সহায়তা দেবে ডিএসসিসি। দুটি সড়ক ছাড়া ওয়ারীর বাকি সড়কের মুখ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস।

স্বাস্থ্য বিভাগের চিহ্নিত করা ওয়ারীর এলাকাগুলো হচ্ছে ওয়ারীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) আউটার রোড এবং ইনার রোড হিসেবে লারমিনি স্ট্রিট, হরি স্ট্রিট, ওয়ারী স্ট্রিট, র‌্যানকিন স্ট্রিট এবং নওয়াব স্ট্রিট।

করোনা প্রকোপ শুরুর পর সারাদেশে দুই মাস লকডাউনের পর এখন করোনা সংক্রমণের দিকে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো অবরুদ্ধ করার কৌশল নিয়েছে সরকার।

এই প্রক্রিয়ায় পূর্ব রাজাবাজারের পর ঢাকার দ্বিতীয় এলাকা হিসেবে ওয়ারীকে অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। রাজাবাজার লকডাউনে যেসব অভিজ্ঞতা সেগুলি ওয়ারী লকডাউনে বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন।

আর যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ও চ্যালেঞ্জ রাজাবাজারে ধরা পড়েছে ওয়ারীর ক্ষেত্রে সেগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি নতুন নতুন কৌশল, নাগরিকদের মতামত গ্রহণ ও কর্মপদ্ধতি প্রয়োগের চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে। এজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসিকে নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ওয়ারী লকডাউনের দিনক্ষণ জানিয়েছিলেন।

মেয়র তাপস জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর ও সিভিল সার্জন অফিস সার্বক্ষণিক তদারকি করবে। সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন থেকে ২৪ ঘণ্টা লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ওয়ার্ডভিত্তিক কাজ করবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/ডিএম)