খাবার পানির সংকটে মানিকছড়ির দশ পরিবার
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলাধীন যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের অন্তর্গত দুর্গম পাহাড়ি জনপদ খাড়িছড়া এলাকা। এ এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে দশ পরিবারের অর্ধ্বশতাধিক লোকের বসবাস। তাদের পানির চাহিদা মেটাতে হয় খালের পাড়ে নিজ উদ্যোগে তৈরি করা তিনটি কুয়ার মাধ্যমে। সম্প্রতি যার দুটিই তলিয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে। খালে প্রচুর পানি হওয়ায় অন্যটির পানিও খাবার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে সেখানকার লোকজন একটি নলকূপও স্থাপন করতে পারছেনা। এ অবস্থায় পানি সংকটে আছেন ওই এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন নারী-শিশু কুয়া থেকে খাবার পানি তুলছে।
তারা বলেন, ‘অনেক দূর থেকে পাহাড় বেয়ে খাল পাড়ের কুয়া থেকে খাবার পানি নিতে এসেছি। উঁচু পাহাড়ের দুর্গম পথ পাড়ি দিতে খুব কষ্ট হয়। আমরা সারাবছরই এই কুয়ার পানি খাওয়াসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করে থাকি।’
এসময় বৃদ্ধা আবেদা খাতুন বলেন, ‘নলকূপ না থাকায় খালের পাড়ে তৈরি করা কুয়া থেকেই আমাদের পানির চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। কিন্তু প্রবল বর্ষণে ও খালে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের তিনটি কুয়ার দুটিই পানিতে তলিয়ে গেছে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, ‘সরকারিভাবে নলকূপ স্থাপনের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, এখানকার মানুসের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করবেন।’
এ বিষয়ে ৩ নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন বলেন, ‘বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নলকূপ স্থাপনের কোন প্রকল্প না থাকায় খাড়িছড়া এলাকার দশ পরিবারের জন্য নলকূপ স্থাপন করা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি আমার নজরে এসেছে ব্যক্তিগতভাবে হোক আর প্রকল্পের বরাদ্দনুযায়ী সেখানকার মানুষের জন্য নলকূপ স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে।’
ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/পিএল