‘চট্টগ্রামে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের পথে’

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২০, ২৩:১৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরীর সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্ম-পরিকল্পনা প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ক্ষেত্র বিশেষে শ্লথ হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলোর কাজ সম্পন্ন করা হবে।

শনিবার পিসি রোডস্থ তাসফিয়া থেকে সাগরিকা মাজার পর্যন্ত এবং সাগরিকা মাজার থেকে অলংকার পর্যন্ত চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।

তাসফিয়া থেকে সাগরিকা মাজার পর্যন্ত ১৫৪৩ মিটারের এই কাজের জন্য ৪০ কোটি টাকা এবং সাগরিকা মাজার থেকে অলংকার পর্যন্ত ৭৫০ মিটার সড়ক নির্মাণে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় করছে জাইকা। ইতোমধ্যে এই প্রকল্প কাজ প্রায় সিংহভাগ সম্পন্ন হয়েছে এবং বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর কাজের মান ও স্থায়ীত্ব ক্ষমতায় কোনো রকমের ত্রুটি যাতে না থাকে সেজন্য মেয়র সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সময়ের কাজ সময়ে শেষ না হলে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে এবং প্রকল্পের অর্থেরও অপচয় হয়। সিটি করপোরেশনের অনেকগুলো প্রকল্পের জাইকার অর্থায়নে বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাই দাতা কর্তৃপক্ষ চায় না কাজে কোনো ধরনের খুঁত থাকুক। এজন্য বিরূপ আবহাওয়াজনিত কারণে কাজের মান যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয় এবং কারিগরি দৃষ্টিকোণ থেকে এই সময়ক্ষেপনকে অযৌক্তিক বলা যাবে না। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে কোনো কোনো ঠিকাদার অযৌক্তিক অজুহাত খাঁড়া করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এটা পরিস্কারভাবে চুক্তির শর্ত লংঘন।

তিনি বলেন, তবুও আমরা কাজ শেষ করার নতুন বর্ধিত সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। এরপরও মানসম্পন্ন ও টেকসই কাজ বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি পেতে হবে  এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি নগরবাসীকে আশ্বস্থ করে বলেন, করোনাকালে বিরূপ পরিস্থিতি সীমাবদ্ধতা ও আর্থিক সংকটের মধ্যেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোন কর্মপরিকল্পনাই থেমে থাকছে না। প্রকল্পগুলোর সিংহভাগ কাজের অগ্রগতি হলেও কিছুটা ফিনিশিং বাকি রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো  নভেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ করে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বর্ধিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে জনবল বৃদ্ধি ও  দিনে-রাতে কাজ করার জন্য ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন মেয়র।

এছাড়া সিটি মেয়র শনিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্মিত ম্যুরাল প্রতিস্থাপন স্থানের বড়পোল মোড়স্থ নির্দিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি এই প্রতিস্থাপন কাজ আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দেন এবং এরপর দুই একদিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করতে পারেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/কেএম)