রাঙামাটিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২০, ০০:০৫

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্তা নিজের মেয়ের জীবন নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। অথচ ধর্ষণে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের মান সম্মান রক্ষার জন্য মরিয়া রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভুষণছড়া ইউনিয়নের একজন মা। তার নাম পারুল বেগম। পারুল বেগমের মেয়ে বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্তা।

পারুলের মেয়ে গত ৩০ জুন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ভুষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বিয়ে ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এর ফলে তিনি গর্ভবতী হন। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নারীর।

এ সংবাদ সম্মেলনের চার দিন পর শনিবার রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মামুনুর রশিদের পরিবার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা।  

তাদের সঙ্গে ছিলেন সাত মাসের অন্তঃসত্তা নারীর মা পারুল বেগম। সংবাদ সম্মেলনে পারুল বেগম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় মামুনুর রশিদ জড়িত নয়। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ সময় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন পারুল বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মামুনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের বাবা মো. সোলাইমান, মা গোলেনুর বেগম, বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বক্কর মেম্বার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস ছবুর, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবু ছৈয়দ, ভুষনছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও চেয়ারম্যান মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদীর মা পারুল বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে মামুনের স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ বানোয়াট বলে দাবি করার পাশাপাশি মামুনকে ফাঁসানোর জন্য করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ মেয়েটির গর্ভের সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/কেএম)