বৃক্ষরোপণ একটি অপরিহার্য কাজ

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২০, ১১:২০

ইয়াহিয়া মির্জা

কয়েক দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির একটি নিউজ আমার চোখে পড়েছে। যেখানে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ একটি গাছ কাটলে তাকে ১০টি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রীর গাছ লাগানোর আহ্বান আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি বলবো, বৃক্ষরোপণ একটি অপরিহার্য কাজ। কারণ পৃথিবী মানুষের বাসযোগ্য রাখতে গাছের কোনো বিকল্প নেই। করোনাভাইরাসের সময় প্রকৃতি রক্ষা নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা হচ্ছে। প্রায় সব দেশেই লকডাউন থাকায় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন হয়েছে। উদ্ভিদ, বিভিন্ন প্রাণী, সব ধরনের জলাশয় নতুন করে যেন প্রাণ পেয়েছে। আমরা ঢাকা শহরেও এই চিত্র দেখছি। তবে সব স্বাভাবিক হয়ে গেলে এই পরিস্থিতি থাকবে না। তাই পরিবেশরক্ষায় আমাদের সবাইকে আরো বেশি সচেতন থাকতে হবে।

করোনার জন্য আমাদের দেশে একটি বড় ক্ষতি কিন্তু হয়েছে। জুন মাসে সারাদেশে বৃক্ষমেলা হতো। রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলানগরে বিশাল আকারে বসতো বৃক্ষমেলা। এবার এই মেলা আয়োজন করা হয়নি। তাই মেলা থেকে যারা গাছ সংগ্রহ করেন এবার তারা পারেননি। তবে সবার উচিত আশপাশের নার্সারি থেকে গাছ সংগ্রহ করে সুবিধামতো জায়গায় রোপণ করা।

বিপদের কথা হলো- ঢাকা শহরে টবে গাছ লাগানোর বিষয়টি ডেঙ্গু সংক্রমণের কারণে কমে গেছে। এডিস মশার ভয়ে আমার বাসা থেকেও টব সরিয়ে ফেলা হয় গতবছর। মশা এড়িয়ে কীভাবে টবে গাছ রাখা যায়, এ নিয়ে এখন আবার চিন্তাভাবনা করছি। এই সুযোগে আমার স্ত্রীর বৃক্ষপ্রীতি নিয়ে একটু বলবো। ধানমন্ডি থেকে জিগাতলার দিকে চলে গেছে যে রাস্তা তার শুরুতেই আইল্যান্ড। যেটা জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড হিসেবে পরিচিত তার পাশেই সেই আইল্যান্ডে এখনো কিছু গাছ দেখা যায়। এই গাছগুলো কিন্তু আমার স্ত্রী লাগিয়েছে। দীর্ঘদিন নিজেই গাছগুলোর যত্ন নিয়েছে। প্রয়োজনে দিনমজুর দিয়ে কাজ করিয়েছে। আমাদের একটা প্ল্যান ছিলো সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নিয়ে এই আইল্যান্ডের দায়িত্ব আমরা নিয়ে নেবো। কিন্তু প্রক্রিয়া জটিল বলে পড়ে আর আগানো হয়নি। তবে আইল্যান্ডের গাছগুলো এখনো দেখলে আমাদের পরিবারের অবদান থাকার বিষয়টি আমাকে গর্বিত করে। যদিও অনেক দিন ধরে পরিচর্চ্চা করা হয়নি।

সবশেষে আবারো বলি, বর্ষার এই সময়ে আসুন আমরা সবাই একটি করে হলেও গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

লেখক: হেড অব পাবলিক রিলেশনস অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক

ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/এসকেএস