প্রথমে বুঝিনি শচীন এতো বড় ব্যাটসম্যান হবে: ওয়াকার ইউনুস

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২০, ১৩:১৭ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২০, ১৭:০১

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ছোটখাট চেহারার ছেলেটা যে একদিন বিশ্ব ক্রিকেটের মহীরূহে পরিণত হবে, তা প্রথম দর্শনে আন্দাজ করতে পারেননি পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা পেসার ওয়াকার ইউনুস। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে, ততই শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে তাকে।

১৯৮৯ সালে করাচিতে একই মঞ্চে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল দুই কিংবদন্তির। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন পাকিস্তানের বর্তমান বোলিং কোচ। ওয়াকার বলেন, ‘শচীনের মতোই ওটা ছিল আমারও প্রথম টেস্ট। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার স্বপ্ন পূরণের খুশিতে একটু বেশিই আবেগতাড়িত ছিলাম। সামান্য চোট থাকা সত্ত্বেও ১৮ ওভার হাত ঘোরানোর সুযোগ হয়েছিল। তুলে নিয়েছিলাম চারটি উইকেট। তার মধ্যে ১৫ রানে শচীনকেও আউট করেছিলাম। তবে টেন্ডুলকারকে প্রথম দেখে আমার মনে হয়নি ও লম্বা রেসের ঘোড়া। অবশ্য ভুলটা ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। খুব বড় রান না করলেও ওর বেশ কিছু শট আমাকে মুগ্ধ করেছিল।’

শচীনের ক্যারিয়ারের প্রথম বিদেশ সফর ছিল দারুণ চ্যালেঞ্জে মোড়া। অভিষেক ম্যাচ থেকেই তাকে তাড়া করেছিল গগনচুম্বী প্রত্যাশা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে একবার নাকে বলের আঘাত পেয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। বেশ রক্ত ঝরেছিল। কিন্তু তিনি হার মানেননি।

সেই ঘটনা প্রসঙ্গে ওয়াকার বলেন, ‘ওই ম্যাচটা ছিল শিয়ালকোটে। আমরা সিরিজ জেতার জন্য কিউরেটরকে সবুজ ও বাউন্সি উইকেট বানাতে বলেছিলাম। আমার একটা বাউন্সার গিয়ে টেন্ডুলকারের নাকে লাগে। আমরা সবাই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু মিনিট পাঁচ-সাতেকের মধ্যেই ও ফের ব্যাটিং শুরু করে দেয়। দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরিও করেছিল (১৭২ বলে ৫৯ রান)। ওটা আমার দেখা শচীনের অন্যতম সেরা ও সাহসী ইনিংস। শারীরিক উচ্চতা কম হলেও বাউন্সের বিরুদ্ধে ওকে কখনও বিচলিত হতে দেখিনি। বাকিটা তো জীবন্ত ইতিহাস!’

(ঢাকাটাইমস/০৫ জুলাই/এআইএ)