হামলার মামলায় রাতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, দুপুরে জামিন

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ জুলাই ২০২০, ১৮:৪২

দুর্নীতি ও নানা অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় কুমিল্লার মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার চেয়ারম্যান শাহজাহান ভার্চুয়াল আবেদনের মাধ্যমে জামিন নিয়েছেন। এর একদিন আগে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান বাহিনীর লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটায়।

তারা সাংবাদিকের মুক্তিযোদ্ধা বাবা ও বৃদ্ধ মাকে কুপিয়েও আহত করে। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাংবাদিক শরিফুলের বাবা। শনিবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনার মূল মদতদাতা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে রবিবার চেয়ারম্যানকে থানা থেকে জেলহাজতের উদ্দেশ্যে আদালতে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু চেয়ারম্যান শাহজাহান ভার্চুয়াল আবেদনের মাধ্যমে আদালতে জামিনের আবেদন করেন।

কুমিল্লা আদালতের পরিদর্শক সালাউদ্দিন আল মাহমুদ জানান, জামিনের জন্য ভার্চুয়াল আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার গোলাম মাহবুব খান চেয়ারম্যান শাহজাহানের জামিন মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে মুরাদনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ জানান, সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় রবিবার চেয়ারম্যান শাহজাহানকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরীর বাবা আহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেন, দারোরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সংবাদ প্রকাশ করে আমার ছেলে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে প্রাণে শেষ করে দেওয়ার জন্য হুমকি দেয় চেয়ারম্যান ও তার দলবল। শরিফের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। নিজেকে অনিরাপদ ভেবে সে একমাস বাড়ির বাইরে ছিল। গত সপ্তাহে সে বাড়িতে আসে। শরিফ বাড়িতে আছে এ খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান শাহজাহানের লোকজন বাড়িতে ঢুকে তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির ওঠানে আনেন। দা দিয়ে কুপিয়ে, হাতুড়ি ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে তার দুই হাত পা ভেঙে দেয়। দা দিয়ে তার মাথায় কোপ দিলে মগজের কিছু অংশ বেরিয়ে আসে। আমি ও তার মা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে রামদা দিয়ে আমার ডান হাতে কোপ দেয় এবং রড দিয়ে পেটায়। তার মায়ের বাম ভেঙে দেয়। আমাদের চিৎকারেও চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসার সাহস পায়নি। তাকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমরা মুরাদনগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :