ঘরে বসেই যে উপায়ে ২১ কেজি ওজন কমিয়েছেন ঐশ্বরিয়া

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০২০, ১২:১১

৩১ বছর বয়সি ঐশ্বরিয়া পান্ডিয়া বেশি ওজনের কারণে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে ওজন কমিয়ে আগের চেহারায় ফিরে আসবেন। জিমে না গিয়ে ঘরেই সাধারণ নিয়ম পালন করে ২১ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি।

ঐশ্বরিয়া ভারতের চেন্নাইয়ে বসবাস করেন। তার সর্বোচ্চ ওজন হয়েছিল ৭১ কেজি। এখন তার ওজন ৫০ কেজি। ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা ঐশ্বরিয়ার এই পরিমাণ ওজন কমতে সময় লেগেছে দশ মাস। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি এই ওজন কমানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। চলুন তার মুখ থেকেই শুনে আসি তার গল্প।

টার্নিং পয়েন্ট: আমার বিয়ের পর ধীরে ধীরে বেশ ওজন বেড়ে যায়। আমি বুঝতে পারি যে আমার আগের কোনো পোশাকই এখন ফিট করে না। আমার ওজন পৌঁছে যায় ৭১ কেজিতে। আমার পোশাকের আকারও 'এম' সাইজ থেকে ‘এক্সএল’ সাইজে উঠে যায়। এরপরই আমি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করি। তারপর সেই মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করি এবং উপবাস থাকি। যা যাদুর মতো কাজ করেছে।

খাবার:

সকালের নাস্তা: আমি এমন কিছু অনুসরণ করতে চেয়েছিলাম যা আমি দীর্ঘমেয়াদে চালিয়ে যেতে পারি। দক্ষিণ ভারতীয় হওয়ায় আমি নিয়মিত দক্ষিণ ভারতীয় সকালের নাস্তা গ্রহণ করেছি। যেমন ইডলি, দোসা, রাগির জাও ইত্যাদি।

দুপুরের খাবার: তরকারি, ১টি চাপাতি রুটি, শাকসব্জি, সিদ্ধ কলাই, ১-২ ডিম এবং মাখন তোলা দুধ। আমি মুরগি এবং চিংড়ির মধ্যেও পরিবর্তন করেছি।

রাতের খাবার: রাতে খাওয়ার জন্য আমি ভারসাম্যপূর্ণ একটি তালিকা তৈরি করেছি।

আমি উপবাস থেকেছি এজন্য ব্যায়ামের আগে তেমন কোনো খাবার খাইনি। আর ব্যায়ামের পরে বাদাম ও দুটি সিদ্ধ ডিম খেয়েছি।

যেহেতু আমি কোনো নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করিনি তাই নিয়মিত ঘরে রান্না করা খাবার খেয়েছি। আমার সমস্ত খাবার কার্বস, প্রোটিন, ফ্যাটযুক্ত ও সুষম ছিল। এছাড়া আমি প্রচুর পানি পান করেছি।

ব্যায়াম: প্রথম দিকে আমি বিস্তৃত ব্যায়াম করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করিনি তাই শুধু সিঁড়িতে ওঠা-নামার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছি। ধীরে ধীরে ওজন হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে আমি কার্ডিও ও শক্তি খরচের ব্যায়ামে মনোযোগ দিয়েছি। ব্যায়াম করার সময় ভারসাম্যপূর্ণ থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি যে কখনো জিমে যাইনি। আমি সবকিছুই ঘরে বসেই করেছি।

ফিটনেস সিক্রেট: আমি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে ফিটসেন সিক্রেট খুঁজে পেয়েছি তা হলো- নিয়মিত উপবাস আমাকে অনেক কাজে দিয়েছে। এছাড়া ভারসাম্যপূর্ণ ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং হাইড্রেটেড থাকা নিশ্চিত করেছি।

এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি রাতারাতি ওজন হ্রাস করতে পারবেন না। এর জন্য আপনার প্রয়োজন ইচ্ছা, প্রচেষ্টা এবং ধৈর্য।

ঢাকা টাইমস/০৬জুলাই/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

সস্তার পেয়ারার গুণে বশে থাকে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :