আইসোলেশনে থেকে টিভিতে বক্তব্য দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২০, ১৯:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই মাঠে আছে, ত্রাণ দিচ্ছে’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এই মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সারাদেশের মানুষ দেখছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে মাঠে না গিয়ে আইসোলেশনে থেকে টিভিতেই বক্তব্য দেয় বিএনপি।’

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাই না এবং তা উচিতও নয়। দেশের মানুষের চোখ-কান আছে, তারা দেখতে পাচ্ছে, কারা মাঠে আছে, কারা ত্রাণ দিচ্ছে। সারাদেশের মানুষ দেখছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে মাঠে না গিয়ে আইসোলেশনে থেকে টিভিতেই বক্তব্য দেয় বিএনপি।’

হাছান মাহমুদ জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখের বেশি পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় সাত কোটি মানুষ ত্রাণ এবং অন্যান্য সহায়তার আওতায় এসেছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছে বিধায় অনেক এমপিসহ বহু নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতারা ঘরে বসে বসে ভিডিও কনফারেন্স করে দুনিয়ার কথা বলেন, সেটা টেলিভিশনেই দেখা যায়। অপরদিকে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা মাঠে কাজ করছে বিধায় অনেক এমপিসহ বহু নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অনেক নেতা ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তারা সবাই মাঠে ছিল।’

‘সুতরাং আমরা যে কথাগুলো বলেছি সেটি যে সত্য, তা দেশের মানুষ বুঝতে পারে। আর মিথ্যা বলাই যাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য, তারা ক্রমাগত মিথ্যাই বলবে, এটিই স্বাভাবিক।’

এখনো চিকিৎসার জন্য মানুষকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে-এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া িই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি একটি অপরাধ এবং এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে রোগীর মৃত্যুর দায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’

করোনা পরিস্থিতিতে বগুড়া ও যশোরের দুটি আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এর ভালো ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবেন। যদিও ঢাকা আর বগুড়া কিংবা যশোরের পরিস্থিতি এক নয়, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মানুষ যে কিছুটা উদ্বিগ্ন সেটাও ঠিক। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়ও আছে। সে কারণেই তারা নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/এনআই/জেবি)