রাজনগরে তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, নারীসহ গ্রেপ্তার ৬

মৌলভীবাজারের রাজনগরে অজ্ঞাত পরিচয় তরুণী হত্যাকাণ্ডের ক্লু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ওই দুই নারী তাদের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্ধি দিয়েছেন। তারা জানান ওই তরুণীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে এক সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজনগর উপজেলার গয়াসপুর গ্রামের জমশেদ মিয়া, একই উপজেলার চাঁনভাগ গ্রামের বাদশা খাঁ, সৈয়দনগরের (ভাঙ্গারহাট) শিপন মিয়া, চাঁনভাগ (টিলাগাঁও) গ্রামের এনা বেগম ওরফে গোলাপী, একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার রনিখাই গ্রামের সালমা বেগম।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক রয়েছেন মৌলভীবাজার বড়দল গ্রামের শেখ হুমায়ুন আহমদ।

পুলিশ সুপার জানান, গত মাসের ১২ জুন সকালে রাজনগর উপজেলার ২নং উত্তরভাগ ইউপিস্থ চাঁনভাগ দক্ষিণ টিলা গ্রামে জনৈক মুকুল মিয়ার আকাশি বাগানের একটি গাছ থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তে গণধর্ষণ ও হত্যার আলামত পায়। পরে আসামিদের ধরতে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় একটি তদন্ত টিম গঠন করে বিষয়টির ব্যাপক তদন্তে নামে। এক পর্যায়ে আসামি জামশেদ মিয়াকে আটক করে নিবিরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে জমশেদ মিয়া স্ওই তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। জমশেদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাকীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই তরুণী একজন দেহব্যবসায়ী ছিলেন। আসামি সালমা বেগমকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মৃত ওই তরুণীর ছদ্মনাম সুমি বেগম। তবে তার কোনো ঠিকানা জানা নেই। রুকশানা বেগম নামে এক নারী সুমী বেগমকে সালমার নিকট দিয়ে গিয়েছিল।

এ ঘটনায় অন্য আসামিরা সালমা বেগমের থেকে ২০০০ টাকার চুক্তিতে একরাতের জন্য সুমী বেগমকে নিয়েছিল। তারা তাকে প্রথম রাতে এনা বেগম ওরফে গোলাপী বাড়িতে ধর্ষণ করেছিল। দ্বিতীয় দিন ধর্ষণ করতে গেলে সুমী বাঁধা দেওয়ায় তাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে তারা। তবে ওই তরুণীর আসল পরিচয় এখনো পুলিশ শনাক্ত করতে পারেনি।

ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/পিএল