করোনা: সোমবার পজিটিভ, বুধবার নেগেটিভ

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ০০:১১

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দুই দিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে একই ব্যক্তি দুই ধরনের রিপোর্ট পেয়েছেন। সোমবারের রিপোর্ট পজিটিভ এলেও বুধবারের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা নামে এক সংবাদকর্মীর এ ঘটনা ঘটেছে। দুই দিনের ব্যবধানে এমন রিপোর্ট পেয়ে তিনি চরম সংশয় প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, সংবাদকর্মী ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা গত ২৯ জুন সোমবার সস্ত্রীক আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দেন। বুধবার তিনি নিজে সহকর্মীদের সাথে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে ভবনে এসেও নমুনা দেন। আজ রাত ৯টায় ঢাকার ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেন্স সেন্টার থেকে ২৯ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত পাঠানো ৩৯২ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রতিবেদন আসে জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। ওই ফলাফল পেয়ে আজ সোমবার রাত ৯টার পর আক্কেলপুর হাসপাতাল থেকে একজন স্বাস্থ্যকর্মী ওই দম্পতির করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। একইসাথে তার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে দেওয়া নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া যায়।

দুই দিনের ব্যবধানে একই ব্যক্তির পজিটিভ ও নেগেটিভ ফলাফল পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ.ম আব্দুর রহমান রনি। বলেন, এমনিতেই ১০ থেকে ১৫ দিন পর নমুনার ফলাফল নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। সেখানে এমন ফলাফল মানুষের মনে শঙ্কা আরো ঘণিভূত হবে।

রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিয়ার সাথে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় কোন মন্তব্য জানা যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, গরম পানি অথবা চা, কফি পান করে নমুনা দিলে সেখানে ফলাফলের পরিবর্তন আসতে পারে।

সংবাদকর্মী ওমপ্রকাশ আগরওয়ালা বলেন, ‘সোমবার পজিটিভ আর বুধবার নেগেটিভ ফলাফল পেয়ে কিছু বুঝতে পারছি না। তবে সাতদিন হোম আইসোলেশনে থাকার পর বগুড়ার টিএমএসএস বেসরকারি হাসপাতালে আরো একবার নমুনা পরীক্ষা করাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫১১ জন। সুস্থ হয়েছেন ২২৮ জন। নমুনা সংগ্রহ ৮ হাজার ১৯ এবং ফলাফল পাওয়া গেছে ৭ হাজার ৭২২ জন।

(ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/এলএ)