কাল বাইশ গজে ফিরছে ক্রিকেট

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ১১:০৪ | আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০, ১১:২০

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ক্রিকেট ভক্তদের অপক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দীর্ঘ ১১৭ দিন পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে। যা নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়।

শেষ বারের মতো ব্যাটের সঙ্গে বলের সংযোগের মিষ্টি শব্দ শোনা গিয়েছিল কবে? অনেকেই হয়তো ভুলে গিয়েছেন। ১৩ মার্চ শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ফাঁকা স্টেডিয়ামে। সিডনিতে ওয়ান ডে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া হারায় নিউজ়িল্যান্ডকে। তখন সবে ছড়াতে শুরু করেছে করোনার প্রকোপ কিন্তু অনেকে বুঝতে পারেনি, এমন দীর্ঘ বিচ্ছেদে থাকতে হবে ক্রিকেটের সঙ্গে।

বুধবার থেকে যে টেস্ট শুরু হতে যাচ্ছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকার, কর্তা, সকলকে রাখা হচ্ছে সাউদাম্পটনের মাঠে জৈবিক সুরক্ষিত বলয়ের মধ্যে। মাঠের মধ্যেই রয়েছে হোটেল। সেখানেই থাকবেন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, সকলে। যার অর্থ, ম্যাচে যাঁরা থাকবেন, সকলে এক বার বলয়ে ঢুকে পড়লে আর বেরোতে পারবেন না। ক্রিকেটারেরা আগেই সেখানে ঢুকে পড়েছেন, ধারাভাষ্যকারদেরও বলে দেওয়া হয়েছে, আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে
ঢুকে পড়তে হবে।

নাসের হুসেন জানিয়েছেন, কমেন্ট্রি বক্সেও তারা বসবেন শারীরিক দূরত্বের নিয়ম মেনে। ধারাভাষ্যকারদেরও একই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কমেন্ট্রিতে বিরতির ফাঁকে তারা নিজেদের হোটেল রুমে ফিরে গিয়ে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে পারেন। সাউদাম্পটনের মাঠটির ভিতরে যে হোটেল রয়েছে, তা একদম বাউন্ডারি লাইনের লাগায়ো। হোটেলের বিশেষ কয়েকটি ঘরের ব্যালকনি থেকে সুন্দর ভাবে ম্যাচ দেখা যায়।

এ ভাবে কি সত্যিই ক্রিকেট উপভোগ করা সম্ভব? কোনও দর্শকই যদি না থাকে, ‘শো’ চলবে কাদের জন্য? এই টেস্টের অন্যতম ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেন স্বীকার করেছেন, এটা অবশ্যই আদর্শ পরিস্থিতি নয়। ‘নিশ্চয়ই এভাবে কেউ খেলা আয়োজন করতে চায় না। কিন্তু এটা ভেবে অন্তত শান্তি পাচ্ছি যে, ক্রিকেট ফিরছে। ফুটবলের মতোই তা হয়তো ফাঁকা মাঠে হবে, থাকবে না কোনও দর্শক, কিন্তু ক্রিকেট ভক্তরা বাড়িতে বসে টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পাবে। লাইভ ক্রিকেট তো দেখা যাবে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডে এই টেস্ট ম্যাচ উদাহরণ হতে চলেছে। এটা অন্যদের দেখিয়ে দিতে পারে, কঠিন সময়ে কী ভাবে খেলা সম্ভব। ইংল্যান্ড বোর্ডের প্রশংসা প্রাপ্য যে এত উদ্বেগের মধ্যেও সিরিজটা চালু রাখতে পেরেছে। দেখতে চাই অন্যরা কী বার্তা নেয়। মানুষ খেলা দেখতে চায়। অনেক উদ্বেগের মধ্যেও মেজাজ ভাল করে দিতে পারে খেলা। ক্রিকেটের এই প্রত্যাবর্তন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ক্রিকেট কী ভাবে এগিয়ে যেতে পারে তার নকশা উপহার দিতে পারে এই সিরিজ। নানা নতুন জিনিস হয়তো আসতে থাকবে ক্রিকেটে। আপাতত আমার যেটা ভাল লাগছে সেটা হল স্কোয়াডে অতিরিক্ত সদস্য রাখার অনুমতি দেওয়া। এতে নিশ্চয়ই সকলের খুব উপকার হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৭ জুলাই/এআইএ)