দাউদকান্দিতে প্রকৌশলী লাঞ্ছিত, উপজেলা চেয়ারম্যানের অপসারণ চায় আইইবি

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২০, ১৯:৫৫ | আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২০, ২১:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলীকে লাঞ্ছিত করা, লাঞ্ছিতকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধা দেয়া এবং হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনের অপসারণের দাবি জানিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। একই সঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিতকারী আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে অনলাইন জুমে আইইবি'র ৬৯৯ তম কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এসব দাবি জানান।

আইইবি'র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদের সঞ্চালনায় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার সময় সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রকৌশলী আহসান আলী যখন থানায় মামলা করতে যান তখন উপজেলা চেয়ারম্যান বাধা দেন। যার কারণে প্রথমে থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করা হয়। পরে চাপে পরে থানায় মামলা নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু মামলার পর থেকে প্রকৌশলী আহসান আলীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী।

উপজেলা চেয়ারম্যান দাউদকান্দি উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অনেক অভিযোগ রয়েছে। যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে তিনি সরাসরি সন্ত্রাসী কাজকর্ম করছেন।

বক্তারা বলেন, মাহবুবুল আলামসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করেছেন। এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে প্রধান বাধা উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উপজেলা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। যেন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো গতিশীলভাবে চলে। একই সাথে সারা দেশের প্রকৌশলীদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলার দাবি জানাচ্ছি।

অনলাইন জুম মিটিংএ অন্যদের মধ্যে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুর রশীদ, এলজিইডির ঊর্ধতন কর্মকর্তারা, কুমিল্লা আইইবি'র নেতৃবৃন্দসহ ডুয়েট এলামনাই এসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ২ জুলাই কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলীর কাছে অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ঠিকাদার নামধারী সন্ত্রাসী ফারুক, মো. আক্তার হোসেন, মো. লিয়াকত আলী,নাফিস, মোহাম্মদ মঈন চৌধুরী, মরিমল, রবিউল সরকার বাবু, মো. আল-আমিন গং'রা প্রথমে তার কক্ষ তালা দেয়, পরে প্রকৌশলী আহসান আলীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

(ঢাকাটাইমস/০৭জুলাই/কারই/জেবি)